সংক্ষিপ্ত

  • বন্ধ বিমার টাকা ফেরতের নাম প্রতারণার কারবারের পর্দাফাঁস
  • সল্টলেক থেকে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ
  • বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছেন এক মহিলা
  • সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে আগেই গ্রেফতার হয় ৩ মহিলা-সহ ১৬ জন
     

বন্ধ বিমার টাকা ফেরত পাওয়া যায়। এমনই টোপ দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার কারবারের হদিশ মিলেছিল আগেই।  ঘটনায় সল্টলেকের সিটি সেন্টার ওয়ান এলাকা থেকে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

বন্ধ বিমার টাকা ফেরত পেতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন কলকাতার গিরীশ পার্কের বাসিন্দা এক মহিলা।  টাকা তো ফেরত পানইনি, উল্টে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলের নামে বিমা করানোর নামে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।  গত বছরের মার্চ মাসে গোটা ঘটনা জানিয়ে বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।  ঘটনার তদন্তে নেমে গত ১৫ অক্টোবর সল্টেলেক সেক্টর ফাইভে একটি অফিসে হানা দেন সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় ৩ মহিলা-সহ ১৬ জনকে।  তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে তিন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে দিয়ে গ্রাহকদের ফোন করাত প্রতারকরা।  কিন্তু এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে কী আরও কেউ জড়িত? তদন্ত চালাচ্ছিল বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে  সিটি সেন্টার ওয়ান এলাকা থেকে ধরা পড়ল আরও দু'জন।

কিন্তু কীভাবে চলত এই প্রতারণার চক্র? গিরীশ পার্কের বাসিন্দা যে মহিলা প্রতারিত হয়েছেন, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চ মাসে তিনি একটি ফোন পান। ফোনে জানতে চাওয়া হয়, ওই মহিলার কোনও বিমা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিনা। প্রতারিত মহিলা জানান, তাঁর নামেই একটি বিমা ছিল, কিন্তু এখন সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরই বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিমার টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তি আসেন ওই মহিলা বাড়িতে। সেই ব্যক্তির কথামতো সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে একটি অফিসেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণীও।  কিন্তু বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিমার টাকা ফেরত পাওয়া তো দুর, উল্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে অভিযুক্তেরা ওই মহিলাকে দিয়ে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলের নামে ৪০ লক্ষ টাকা বিমা করিয়ে নেয় বলে জানা গিয়েছে।