সংক্ষিপ্ত
- সংগঠনের কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করায় পথে নামল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ
- মেটিয়াবুরুজের ঘটনার প্রতিবাদে শিয়ালদহে পথ অবরোধ করল সংগঠনের কর্মীরা
- পরে এনআরএস হাসপাতাল ছাড়িয়ে সেই বিক্ষোভ চলে ধর্মতলায়
- বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ
সংগঠনের কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করায় পথে নামল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। মেটিয়াবুরুজের ঘটনার প্রতিবাদে শিয়ালদহে পথ অবরোধ করল সংগঠনের কর্মীরা। পরে এনআরএস হাসপাতাল ছাড়িয়ে সেই বিক্ষোভ চলে ধর্মতলায়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে রাস্তায় নামে পুলিস। নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরে প্রতিবাদকারীদের জোর করে ভ্য়ানে তুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এদিন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরিয়েই কিছু আরএসএস কর্মী স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, এই প্রতিবাদ মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে বুঝিয়ে দিতে হবে, যে এটা হিন্দুস্থান না মিনি পাকিস্তান। ববি হাকিম বলেছিল এটা মিনি পাকিস্তান, তাই আজকের জমায়েত দেখিয়ে দেবে,এটা মহান ভারতবর্ষ। কদিন আগেই গার্ডেনরিচে আরএসএস-এর এক কর্মী বীর বাহাদুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক।
বুধবার লাঠিচার্জ নিয়ে পুলিশ দাবি করে, অনুমতি ছাড়াই মিছিল করার জন্য হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয়। পাল্টা কর্মী সমর্থকরা দাবি করেন, বহুবার এই ধরনের দাবি করেও কোনও কাজ হয়নি। অনুমতি নিয়েও কখনও মিছিল করতে দেওয়া হয়নি। তাই অনুমতি ছাড়াই মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সেই নিরস্ত্র মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ বাহিনী।
গত ৩ ডিসেম্বরে মেটিয়াবুরুজে গুলিবিদ্ধ হন আরএসএস কর্মী বীর বাহাদুর সিং। বাজারে ভিড়ের মধ্যে তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর বাহাদুর সিং। গতকালই হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই দলীয় কর্মীদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দেয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে চত্বরে জমায়েত হন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করার কথা থাকলেও তাদের সেই পর্যন্ত যেতে দেয়নি পুলিশ।