সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের অফিসে তল্লাশির বিষেয় রাজ্য প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল। রাত ১০ মধ্যেই গোটা ঘটনার স্টেটাশ রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিল রাজভবন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এমএলএ অফিসের পুলিশের তল্লাশির ঘটনায় রীতিমত তৎপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর কাছে এই মর্ম একটি জরুরি প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল বলেছেন পুলিশের এই ধরনের পদক্ষেপ গভীর উদ্বেগের বিষয়। টুইট করে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেতা শুভেন্দ অধিকারী। নন্দীগ্রামে তাঁর বিধায়ক অফিসের পুলিশ হামলা করেছে। মুখ্যসচিবের কাছে এই বিষয়ে তিনি একটি জরুরি রিপোর্ট চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন আজ রাত ১০ মধ্যেই গোটা ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট তেয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনার ওপর তিনি নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন শুভেন্দুর অফিসের বাইরে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন ছিল। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা খুবই উদ্বেগের বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় রীতিমত সরব শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁর অফিস সার্চ করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যপুলিশকেও নিশানা করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মেঘনাথ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া পাল ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পদে চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ অগ্রিকালচাল অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তমলুকের এসডিপিও পুলিশ বাহিনী নিয়ে মহুয়া পালের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। মহুয়া পালকে বাড়িতে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধয়কের অফিসে আসে পুলিশ। কিন্তু কোনও রকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই শুভেন্দুর অফিসে চল্লাশি চালান হয়। তারই প্রতিবাদ করে শুভেন্দুর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ও আধিকারিকরা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওটি যে শুভেন্দুর কার্যালয় তা তারা জাননতেন না। মহুলা পালের বাড়ি থেকে পাওয়া নথি দেখেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
তবে এই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা যেমন দায়ের হয়েছে তেমনই রাজ্য বিজেপির নেতারাও শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপিকে ভয় দেখাতেই এই কাজ করা হয়েছে। শুভেন্দুর বাড়ি বা অফিস - কোথাও কোনও বেআিনি জিনিস পায়নি পুলিস। পুলিশ রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে একবার হারিয়েছে। এবার পুরো তৃণমূলকেই হারিয়ে দিতে পারে। এই বিষেয় এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা।
বুদ্ধজয়ন্তীতে লুম্বিনীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী, নেপালের সঙ্গে একাধিক কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা
পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা, দুই শিখকে টার্গেট করে খুন করা হয়েছে বলল ভারত
তাজমহলের রহস্যময় ২২টি বন্ধ ঘরের ছবি প্রকাশ, তাহলে কি এবার বিতর্ক শেষ হবে