সংক্ষিপ্ত
স্কুল খোলার ইস্যুতে দাবিতে এদিন কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ। স্কুল খোলার ইস্যুতে দাবিতে লকডাউন গণ উদ্যোগের বিরোধী বিকাশ ভবন অভিযান হতেই পুলিসের ধরপাকড় শুরু।
স্কুল-কলেজ খোলার (School Reopen) ইস্যুতে দাবিতে এদিন কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ। স্কুল খোলার ইস্যুতে দাবিতে লকডাউন গণ উদ্যোগের বিরোধী বিকাশ ভবন অভিযান হতেই পুলিসের ধরপাকড় শুরু।বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে এদিন আটক করেছে পুলিশ (Police)।
স্কুল খোলার ইস্যুতে দাবিতে লকডাউন বিরোধী গণ উদ্যোগের বিকাশ ভবন অভিযান।তবে তার আগেই পুলিসের ধরপাকড় শুরু। আটক হয়েছে বেশ কিছু আন্দোলনকারী।স্কুল -কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনা শর্তে খোলার দাবিতে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP2020) সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে লকডাউন বিরোধী গন উদ্যোগের তরফ থেকে আজ বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।সেই মত বৃহস্পতিবার করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ডে জমা হওয়ার কথা। সেই মত যখনই তাঁরা জমায়েত হয়েছে। বিধান নগর পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।করুনাময়ী এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অপরদিকে, স্কুল কলেজ খোলার দাবি নিয়ে বেলা ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু করে এবিভিপি। এদিন ছাত্র সংগঠন এবিভিপি তাঁদের নেতা সুরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু করে।' অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খুলতে হবে', এই দাবি নিয়ে প্রথমে পুলিশ হকচকিয়ে গেলেও হিন্দুস্কুলের সামনে তাদের আটকে দেয়। এবং তৎক্ষণাৎ তাঁরা বিধানসরণি উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
অপরদিকে, স্কুল- কলেজ খোলার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি এসএফআইয়ের । বৃহস্পতিবার দুপুরে অশোকনগর কল্যাণগড় বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের সামনে বিকল্প ক্লাসরুম নামে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচী করা হলো । যেখানে বেশকিছু পড়ুয়াকে মাটিতে বসে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল । উদ্যোক্তা এসএফআই নেতা থেকে শুরু করে কর্মসূচিতে হাজির পড়ুয়াদের বক্তব্য, 'যেখানে বিভিন্ন ধরনের উৎসব, মেলা চলছে সেখানে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ রাখার যৌতিকতা কোথায়। অবিলম্বে অফলাইনে ক্লাস চালু করতে হবে । না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। ' স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ করল ছাত্র যুব কংগ্রেস ও পরিষদ কর্মী-সমর্থকরা । এ দিনের আন্দোলনে হাজির ছিলেন ছাত্র পরিষদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি পাপাই ঘোষ , এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরিজিৎ চক্রবর্তী।
এদিকে রাজ্যে ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছে। তবে কোভিডের জেরে গত দুই বছর স্কুলই দেখতে পারেনি হাতেখড়ি দেওয়া ক্ষুদে থেকে কলেজ ছাত্রীরাও। স্কুল খোলার পক্ষে গত কয়েক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে এসেছে বিরোধীরা। এদিন সকালেই স্কুল খোলার ইস্যু কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'সব খুলেছে। ইমিডিয়েট স্কুল খোলা উচিত। বাচ্চারা বড়োদের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। বিকাশ হচ্ছে না। পড়ার পরিবেশ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। ভ্যাকসিন হবে কিনা তা নিয়ে বলার জন্য বিজ্ঞানীরা আছেন। ১৮-এর নিচে ভ্যাকসিন চালু হয়েছে । কিন্তু ভয়ের পরিবেশ কাটিয়ে মাস্ক পরে শিশুরা অবিলম্বে স্কুলে যাক।'