সংক্ষিপ্ত
- শাহিনবাগ- পার্ক সার্কাস-এর আন্দোলনকারীদের অপমান দিলীপ ঘোষের
- আন্দোলনকারী মহিলাদের অশিক্ষিত বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি
- টাকা, বিরিয়ানির বিনিময়ে আন্দোলন, দাবি দিলীপের
- ফের বিতর্কতি মন্তব্য করলেন দলের রাজ্য সভাপতি
বিরিয়ানির বিনিময়ে শাহিনবাগে আন্দোলন চলছে বলে দিল্লি নির্বাচন চলাকালীন প্রচার করেছিলেন বিজেপি নেতারা। এর পর দিল্লি নির্বাচনে ধরাশায়ীও হয়ে পড়েছে বিজেপি। কিন্তু তার পরেও যে বিজেপি নেতারা কোনও শিক্ষা নেননি, তা বুঝিয়ে দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার শুধু বিরিয়ানি খাওয়ানোর অভিযোগ নয়, তার সঙ্গে শাহিনবাগ- পার্ক সার্কাস-এর আন্দোলনকারীদের 'বোরখা পরা অশিক্ষিত মহিলা' বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
এ দিন কলকাতায় বিজেপি-র একটি কর্মীসভায় এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন করেন দিলীপ। তিনি বলেন, 'কিছু অশিক্ষিত, অসচেতন গরিব মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন টাকা দেওয়া হচ্ছে. বিরিয়ানি খাওয়ানো হচ্ছে। তাও বিদেশি পয়সায়। দিয়ে দেখানো হচ্ছে মানুষ আমাদের সাথে আছে। শাহিনবাগ থেকে পার্ক সার্কাস একই ঘটনা। আমি অবাক গেলাম। কিছু পার্টির রাষ্ট্রীয় নেতা বাংলায় এসেছিলেন ভাষণ দিতে। তাঁদের ভাষণ কেউ শোনে না। দিল্লি গেলে শাহিনবাগে ভাষণ দেবে আর কলকাতায় এলে পার্ক সার্কাস-এ। সে বৃন্দা কারাট হোন বা পি চিদম্বরম হোন। কয়েকজন অশিক্ষিত মহিলা বসে আছেন বাচ্চা কোলে নিয়ে। তাঁরাই একমাত্র শ্রোতা, দর্শক। আর মতো জাতীয় স্তরের নেতারা এখানে এসে বক্তব্য রাখছেন। সারা দেশে কেউ তাদের বক্তব্য শোনেন না।
বোরখা পরে কয়েকজন অশিক্ষিত মহিলা বোরখা পরে বাচ্চা কোলে বসে আছেন। তাঁরা ছাড়া আর কেউ নেই তাঁদের ভাষণ শোনার মতো।'
দিলীপ ঘোষ যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন একই মঞ্চে ছিলেন মুকুল রাায় সহ বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতা রাম মাধবও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের স্বভাবতই তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল মহাসচিব এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এ থেকে জেড পর্যন্ত বিজেপি-র সব নেতারা একই কথা বলছেন। বোরখা পরা, অশিক্ষিত বলছে মানুষকে, কত বড় অপমান। আমরা কোনও কিছু মানি না মানি, কখনও অন্যকে ছোট করি না। দিলীপবাবুরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য অতি কুকথার বই খুলছেন। তাতে আমাদেরই লাভ হচ্ছে।'
সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দিলীপ ঘোষ মার্কা যাঁরা আছে, তাঁরা চায় কুকথা বলে কাগজে- টিভি-তে নাম তুলতে।' কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দিন দিন এমন মন্তব্য করছেন যা ওনার দলের পক্ষেই অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে।'