সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার আঁচে শুক্রবারও দিনভর উত্তাল হল রাজ্য রাজনীতি। 'অন্যায়ভাবে' আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের উৎখাতের ঘটনার সমালোচনায় বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে করুণাময়ী 'রণক্ষেত্র'। প্রতিবাদ উঠেছে নানা স্তর থেকে। শুক্রবার রাজ্য সরকারের উদ্দেশে একটি চিঠিতে শহরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করল বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
রাতের অন্ধকারে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক উৎখাতের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিক্ষোভে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে নেটমাধ্যম জুড়েও। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানিয়ে প্রতিবাদ করেছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা। ঘটনার বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন শহরের বুদ্ধিজীবী মহলও। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ, পোস্টের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্দেশে খোলা চিঠিও লিখলেন শহরের বিশিষ্ট মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার আঁচে শুক্রবারও দিনভর উত্তাল হল রাজ্য রাজনীতি। 'অন্যায়ভাবে' আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের উৎখাতের ঘটনার সমালোচনায় বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে করুণাময়ী 'রণক্ষেত্র'। প্রতিবাদ উঠেছে নানা স্তর থেকে। শুক্রবার রাজ্য সরকারের উদ্দেশে একটি চিঠিতে শহরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করল বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এই চিঠির সারমর্ম হল, 'অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কী ভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাদের আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে তা আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি এবং ধিক্কার জানাই।'
এই চিঠিতে সই করেন বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, চিকিৎসক কুণাল সরকার, নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমী সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত এই চিঠির বাইরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায় প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র-যুবরাও। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বলপূর্বক আন্দোলনরত চাকরীপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে জোড় করে তোলার প্রতিবাদে সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। কিন্তু মাঝপথেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় মিছিল। বিধাননগরের কাছে রাস্তার মাঝেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মীনাক্ষীদের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে ফের একবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাফ নামানো হয়। মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিকাশ ভবন চত্ত্বর। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন -
করুণাময়ী-কাণ্ডে সরব অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি আর কমলেশ্বরের ফেসবুকে পুলিশের নিন্দা
দীপাবলির আগেই মজুত বাজি বিস্ফোরণে মৃত ৪, ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল আস্ত দোতলা বাড়ি
ইমরানের 'ভাগ্য বিপর্যয়', তোষাগারে হেরাফেরির অভিযোগে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন খান সাহেব