সংক্ষিপ্ত
রিভার টার্মিনালে জেটি থাকবে, কার্গো থাকবে। এখান থেকে কার্গো ও কন্টেনার জলপথে বার্জের মাধ্যমে বলাগড় টার্মিনালে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের বিশেষ উদ্যোগ। গঙ্গার নিচ দিয়ে যাবে পরিবহণযোগ্য টানেল (river terminal)। তৈরি হবে রাস্তা(Road)। এমনই উদ্যোগ নিতে চলেছে পোর্ট ট্রাস্ট(Port trust)। পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, পরিবহনের জন্য রাস্তা তৈরি করা হবে গঙ্গার নীচে। প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি প্রোগ্রাম শুরু করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় কলকাতায় গঙ্গার নীচ দিয়ে গড়ে উঠতে চলেছে রিভার টার্মিনাল।
ইন্টিগ্রেটেট ও সিমলেস কানেক্টিভিটি গড়ে তুলতে কলকাতা বন্দর নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানালেন শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কলকাতার চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। সোমবার কলকাতার পোর্ট ট্রাস্ট গেস্ট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, তারা ইতিমধ্যেই রেল ও রোড কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্যে কাজ করছেন। এর সঙ্গে জলপথ যোগাযোগেও গতি আনতে কলকাতা থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে বলাগড়ে একটি রিভার টার্মিনাল গড়ে তোলা হচ্ছে।
এই রিভার টার্মিনালে জেটি থাকবে, কার্গো থাকবে। এখান থেকে কার্গো ও কন্টেনার জলপথে বার্জের মাধ্যমে বলাগড় টার্মিনালে যাবে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে যেমন রাস্তার উপর চাপ কমবে, তেমনই যানজট কমানো যাবে। এছাড়া প্রায় সাড়ে তেরোশো কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডকে ১৮০ কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়ন করা হচ্ছে।
পোর্ট ট্রাস্ট জানিয়েছে যে খিদিরপুর ডকের অব্যবহার্য এলাকায় উন্নয়ন করা হবে। আল্ট্রা মর্ডার্ন ক্রেন এনে কার্গো হ্যান্ডেলিং শুরু হবে। এখানে সর্বাধুনিক টার্মিনাল তৈরি হবে। এছাড়া সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে হাওড়া পর্যন্ত গঙ্গার নিচ দিয়ে একটি কার্গো টানেল তৈরির পরিকল্পনা আছে। বন্দর এলাকা থেকে যাতে মালপত্র গঙ্গার নিচে টানেল দিয়ে সরাসরি হাওড়া যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে। সেখান থেকে সরাসরি হাইওয়েতে উঠতে পারবে যানবাহন।