সংক্ষিপ্ত
পুলিশ সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রোদ্দুর রায়কে পেশ করা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ। কলকাতা বিমান বন্দরে রোদ্দুর রায়কে ঘিরে ফেলেছিল সাংবাদিকরা।
গোয়া থেকে গ্রেফতার করে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে বুধবার রাতেই আনা হয়েছে কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে রোদ্দুর রায়কে। আজই ইউটিউবারকে পেশ করা হতে পারে আদালতে।
আদালতে পেশ
পুলিশ সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রোদ্দুর রায়কে পেশ করা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ। কলকাতা বিমান বন্দরে রোদ্দুর রায়কে ঘিরে ফেলেছিল সাংবাদিকরা। একাধিক প্রশ্নও করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ইউটিউবার। উল্টে জোর গলায় বলেন 'ডোন্ট চাট মি'। মূলত পুলিশকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেন তিনি। রীতিমত খোশমেজাজেই ছিলেন রোদ্দুর রায়। পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও দূরত্ব তৈরি করতে বলেন তিনি। তারপর পুলিশের গাড়িতে উঠে চলে যায়।
রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে রোদ্দুর রায়কে। মহিলাদের অসম্মান, অশান্তিতে উস্নাকি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ সাতটি অভিযোগ য়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তবে মূলত হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়ার মামলার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ইউটিউবারকে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে লালবাদজারের সাইবার সেল ও গুন্ডাদমন শাখা।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। দেড় ঘন্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিশিষ্ট জনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। আর তারপর পরই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিটিং মিছিল হলে রাস্তায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভুগি হয়ে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায় ওই ফেসবুক লাইভে।অপরদিকে অভিষেকের বাইক সফর নিয়েও কটা করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই চটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে গায়ক কেকে ইস্যু নিয়ে রূপঙ্করকেও কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের কথা এসেছে। সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে 'দিদি' সম্বোধন করে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেন। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও কথা বলেন তিনি।