সংক্ষিপ্ত
- উন্নাওকাণ্ডে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- নির্যাতিতার মৃত্যুতে টুইট করে শোকজ্ঞাপন করলেন তিনি
- উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুতে ক্ষোভ ফুঁসছে দেশ
- দিল্লিতে হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভে শামিল হন বহু মানুষ
ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে শরীরটাকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল ধর্ষকরা। উন্নাওকাণ্ডে নৃশংতার বলি হলেন নির্যাতিতা। ক্ষোভে আগুনে জ্বলছে গোটা দেশ। টুইট করে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'দুঃখজনক। নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।'
২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় গত বছরের মার্চে। তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জামিনে ছাড়া পেয়ে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার উপর চড়াও হন তারা। গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়ে ছুরি আঘাতে প্রথমে ওই তরুণীর শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া ধর্ষকরা। তারপর গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উন্নাও জেলা জেলা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এয়ার অ্যাম্বুলান্সে করে ওই তরুণীকে আনা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের নব্বই শতাংশই পুড়িয়ে গিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় চল্লিশ ঘণ্টা চলে যমে-মানুষে টানাটানি। শেষপর্যন্ত শুক্রবার রাতে মারা যান উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতা। শনিবার সকালে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভে সামিল হন বহু মানুষ। বিক্ষোভ চলাকালীন আবার এক মহিলাকে নিজের ছয় বছরের শিশুসন্তানের শরীরের পেট্রোল ঢেলে দেন। ঘটনার শোরগোল পড়ে যায়। শিশুটি ভর্তি হাসপাতালে, অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর রাতে হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্ত মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে। ঘটনার পুনর্নিমাণের সময়ে অস্ত্র ছিনিয়ে পালানো চেষ্টা করে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। খবর জানাজানি হতেই তেলেঙ্গানা-সহ দেশজুড়ে হায়দরাবাদ পুলিশকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কলকাতা সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, 'আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়।' ধর্ষণে কড়া আইন ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি তোলেন তিনি।