সংক্ষিপ্ত

সাম্প্রতিককালে একের পর এক দুর্ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।  এবার তারপরেই কলকাতা মেট্রোপলিন ডেভলপমেন্ট অথরিটি তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনওভাবেই সম্প্রীতি উড়ালপুলে ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।

 

দুর্ঘটনা রুখতে সম্প্রীতি উড়ালপুলে (Sampriti flyover )এবার থেকে বন্ধ ভারী যান (Overload vechicle) চলাচল। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একের পর এক দুর্ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ( CM Mamata Banerjee)।  ওই বৈঠকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য  নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আর এবার তারপরেই কলকাতা মেট্রোপলিন ডেভলপমেন্ট অথরিটি তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনওভাবেই সম্প্রীতি উড়ালপুলে ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।

গত ২৪   ডিসেম্বর মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলের উপরে মর্মান্তিক পথো দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে  এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করার পর থেকে ২০২১ এর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ জন। নিচের বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের বেহাল দশার জন্য উড়ালপুলের ওপর দিয়েই সমস্ত ধরনের গাড়ি যাতায়াত তাইকরায় বারবার এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে বলে অনেকের ধারণা। সেই মতই এই উদ্বেগের কথা গত  ২৯ শে ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে  মহেশতলার বিধায়ক দুলাল চন্দ্র দাস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সেই মতই ৩০শে ডিসেম্বর কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে একটি নোটিশ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট এর এসপি, ডিএম এবং ব্রিজ উন্নয়ন অথরিটির কাছে পাঠানো হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাল মাঝরাত থেকেই ভারী যান চলাচল সম্প্রীতি উড়ালপুলে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এখনই হাইড বার লাগানো হচ্ছে না, কারণ নিচের রাস্তা সারাবার কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ কোনও প্রয়োজনে ফায়ার টেন্ডারের মতন ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য  উড়ালপুলটি ব্যবহার করা হতে পারে। তাই আরো বেশ কিছুদিন পরে হাইড বার লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। প্রসঙ্গত, আগে বাটানগর ও বজবজকে কলকাতার সঙ্গে সংযোগকারী বজবজ ট্রাঙ্ক রোড প্রয়োজনের তুলনায় সংকীর্ণ হওয়ায়  সবসময় যানজট লেগেই থাকত। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৪ সালে বাটানগর উড়ালপুলের কথা ভাবা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে তৎকালীন জহরলাল নেহেরু জাতীয় নগর নবায়ন মিশনকে এই উড়ালপুল তৈরির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এরপরে ২০১৫ সালে উড়ালপুলটির কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে উড়াল পুলটির উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।