সংক্ষিপ্ত

বর্ষশেষে রাজ্যপুলিশের বড়সড় রদবদল। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হয়েছেন আইপিএস বিনীত গোয়েল।   সিআইডি-র পাশপাশি এসটিএফ-র দায়িত্ব সামলাবেন জ্ঞানবন্ত সিং। 

বর্ষশেষে রাজ্যপুলিশের বড়সড় রদবদল। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার ( Police Commissioner of Kolkata ) হয়েছেন আইপিএস বিনীত গোয়েল ( Vineet Kumar Goyel )। এতদিন তিনি রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-র এডিজি পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ছিলেন সৌমেন মিত্র। সিআইডি-র পাশপাশি এসটিএফ-র দায়িত্ব সামলাবেন জ্ঞানবন্ত সিং। কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনার পুলিশ কমিশনার হলেন প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী।

উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন সৌমেন মিত্র। আর এবার সেই আসনেই পদাধিকারের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন আইপিএস বিনীত গোয়েল। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিনীত গোয়েল হলেন ১৯৯৪ সালের আইপিএস ব্যাচের ক্যাডার ছিলেন তিনি।এতদিন তিনি রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-র এডিজি পদে কর্মরত ছিলেন। মূলত তার নের্তৃত্বেই চলতি বছরে সাপুরজির আবাসনে এনকাউন্টারের ঘটনায় বড় সাফল্য পায় এসটিএফ। আর এবার তাঁকে আরও বড় পদে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এর আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ছিলেন সৌমেন মিত্র।  এদিন থেকেই ডিজি এবং এসডি-র দায়িত্ব সামলাবেন সৌমেন মিত্র।অপরদিকে, রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা দফতরের অ্যাডিশনার ডিরেক্টর জেনারেল বা এডিজি পদে রয়েছেন  জ্ঞানবন্ত সিং।  সিআইডি-র পাশপাশি এসটিএফ-র দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। ২০০৭ সালে কলকাতার পার্কসার্কাসে রিজওনুর রহমানের মৃত্যু খবর গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়ই উঠে এসেছিল জ্ঞাবন্ত সিংয়ের নাম। নানা আইনি জটিলতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে তাঁর পদোন্নতি হয়েছে। এবার সিআইডির এসটিএফ-র ভারও তাঁর কাঁধেই তুলে দিয়েছে নবান্ন। 

পাশপাশি মালদহের নয়া পুলিশ কমিশনার হলেন অমিতাভ মাইতি। মালদহের ডিআইডি হলেন অলোক রাজরিয়া। আলিপুরদুয়ারের নয়া পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী।জলপাইগুড়ির নয়া পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে। কালিপংয়ের নয়া পুলিশ সুপার অপরাজিতা রাই। রাজ্যপুলিশের এসটিএফ-র ডিসি হলেন হরিকৃষ্ণ পাই। রাজ্য ট্রাফিকপুলিশের নয়া ডিআইজি হলেন সুকেশ কুমার জৈন।কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনার পুলিশ কমিশনার হলেন প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বছরের শেষ দিন। শহর জুড়েই উৎসবের আমেজ। এবার বর্ষশেষের দিনে শহরে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশ।  ৩১ তারিখ রাত ১০টা থেকে কড়া নজরদারি শুরু হবে শহরে। ২০টি মোটর সাইকেল পেট্রলিং করবে শহর জুড়ে। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় থাকছে ৮টি পার্কিং জোন। ২টি কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় থাকছে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার। ১টি বজরা রাখা হচ্ছে। একটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল রাখা থাকবে পার্ক স্ট্রিট থানায়। ২২টি পিসিআর- ভ্যান ঘুরবে শহর জুড়ে। ২টি রিভার ট্রাফিকের টিম পেট্রল করবে পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটগুলিতে।