সংক্ষিপ্ত
- নিজের ভালোলাগাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন সঙ্গীতা
- ছক ভেঙে নেশাকে পরিণত করেছেন পেশায়
- হয়ে উঠেছেন কলকাতার ভাইরাল জোম্যাটো গার্ল
- তাঁর সাহসের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা
সৎ পথে উপার্জন করলে কোনও কাজই ছোটো নয়। একথা মুখে অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও কেউ খাবার ডেলিভারির কাজ করতে পারেন এটা ভাবতে পারেন না। লাল টি শার্ট আর বাইকে সেই গতানুগতিক ধারণাই ভেঙে দিয়েছেন বেলঘড়িয়ার সঙ্গীতা । নিজের ভালোলাগাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। নেশাকে পরিণত করেছেন পেশায়।
আরও পড়ুন-উইকএন্ড-এ একঘেয়ে মেনু, বাড়িতে অল্প চিকেন থাকলেই বানিয়ে ফেলুন জ্বিভে জল আনা চিকেন পরোটা
ছেলেবেলা থেকেই বাইক চালানোর প্রতি ঝোঁক ছিল সঙ্গীতার। বরাবরই বাইক চালাতে ভালোবাসতেন। আর সেই নেশাকে পেশায় রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। তারপরই ডেলিভারির কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যোগাযোগ করেন জোম্যাটোর সঙ্গে। চাকরিটাও হয়ে যায়। এরপর লাল হেলমেট আর টি-শার্ট পরে এখন বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন সঙ্গীতা।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার ও নাট্যশিল্পে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন সঙ্গীতা। তাহলে হঠাৎ এই পেশায় এলেন কেন তিনি? আসলে সঙ্গীতা একজন থিয়েটার কর্মী। থিয়েটার করে যা আয় করতেন তা দিয়ে তাঁর হয়ে যেত। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় থিয়েটার। ফলে যে কোনও কাজের জন্যই বাবার কাছে হাত পাততে হত। এটা সঙ্গীতার একেবারেই পছন্দ ছিল না। তারপরই ডেলিভারির কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই কাজে যোগ দেওয়ার পর নিজের জন্য অনেক সময় পাচ্ছেন সঙ্গীতা।
এভাবেই সমাজের চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পছন্দসই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের ঘরে ঘরে। তাঁর এই ছক ভাঙার সাহসের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।