সংক্ষিপ্ত

করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা গেলেন এসবিআই-এর অ্যাসিস্ট্য়াস্ট জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় দত্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েচিল ৫৮ বছর। জানা গিয়েছে, এসবিআই-এর এই আধিকারিক দেওঘরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বেঙ্গল সার্কেলের অফিসার ছিলেন। লকডাউনের আগে ছুটি নিয়ে রাজ্য়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তিনি আর কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। এরপরই তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। পরবর্তকীলে তার বেলভিউতে চিকিৎসা চলছিল। আজ সকালে তিনি মারা যান।

করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা গেলেন এসবিআই-এর অ্যাসিস্ট্য়াস্ট জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় দত্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েচিল ৫৮ বছর। জানা গিয়েছে, এসবিআই-এর এই আধিকারিক দেওঘরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বেঙ্গল সার্কেলের অফিসার ছিলেন। লকডাউনের আগে ছুটি নিয়ে রাজ্য়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তিনি আর কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। এরপরই তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। পরবর্তকীলে তার বেলভিউতে চিকিৎসা চলছিল। আজ সকালে তিনি মারা যান।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এসবিআই অসখ্য কর্মী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্টেট ব্যাঙ্কের সমৃদ্ধি ভবনও। গত তিন মাসে সমৃদ্ধি ভবনে কমপক্ষে ১০ জন আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও স্টেট ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখা অফিসেও অসখ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য স্টেট ব্যাঙ্কের চৌরঙ্গী ব্রাঞ্চ, মিডলটন রো, মিন্টো পার্ক। 

এ ছাড়াও আরও একাধিক শাখা। লকডাউনের মধ্য়ে শাখা অফিসে কর্মীদের দিয়ে কাজ করানো নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবারই আবেদন জমা পড়েছে ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। এমনকী স্টেট ব্যাঙ্কের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগেও সরব হয়েছে নীচুতলার কর্মীরা। 

কারণ,স্টেট ব্যাঙ্কের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পদাধিকারীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধাকে লাগাতার ব্যবহার করলেও নীচুতলার কর্মীদের সেই সুযোগ যথেষ্ট ভাবে দেওয়া হয়নি। এমনকী লকডাউনের প্রথম চার, পাঁচটি পর্যায়ে শাখা অফিসে কর্মরত কর্মীরা সরাসরি অসুবিধায় পরেও পরিষেবা প্রদান করেছেন। এই নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। ইতিমধ্য়েই রাজ্যে স্টেট ব্যাঙ্কে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। 

গত কয়েক দিনে দেখা গিয়েছে,স্টেট ব্যাঙ্কে কর্মরত কর্মীদের মধ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াটা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্য়ে রয়েছেন একাধিক সিনিয়র ম্যানেজার পর্য়ায়ের কর্মী। এমনকী বহু মহিলা কর্মীও করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এরমধ্য়ে সিসিএএসপিএল এবং সিপিপিসি-র একাধিক কর্মী করোনা আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন। এমনকী সমৃদ্ধিভবনের ডি ব্লকের সাত ও আটতলায় একাধিক অফিসার করোনায় আক্রান্ত। স্টেট ব্যাঙ্কের গাড়ির চালকদের মধ্য়েও একজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।