সংক্ষিপ্ত

  • চিনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে বিমানবন্দরে বসানো হল বিশেষ স্ক্যানার 
  • মূলত চিনে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা  ভাইরাসের প্রকোপ 
  • আর এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদেরকে বাঁচাতে নেওয়া হল নয়া পদক্ষেপ 
  • করোনা ভাইরাস প্রাথমিক ভাবে সর্দি-কাশি থেকে চিহ্নিত করা যেতে পারে 

ভাইরাস চিহ্নিত করতে বিমানবন্দরে বসানো হল বিশেষ স্ক্যানার। মূলত চিনে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রহস্যজনক ভাইরাস করোনা-র প্রকোপ। সে দেশের সরকারের তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে প্রকোপের কথা। তবে সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হল, ক্রমে ভারতেও হানা দিতে শুরু করেছে রহস্যময়ী করোনা ভাইরাস। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসাতে অসমারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে অনুরোধ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

 

 

আরও পড়ুন, অভিনব কায়দায় জাল নোট পাচারের চেষ্টা, সোয়েটারের ভিতর থেকে উদ্ধার তিন লক্ষ টাকা

অবশ্য় কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এখনও অবধি চিন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে করোনার কোনও সংক্রমণ নেই।  রাত ১১টা ৩২ মিনিটে চিনের কুনমিঙ প্রদেশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌছাল বিমান। তার আগেই অবশ্য জারি করা হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকা মেনেই ওই বিশেষ  স্ক্যানার দিয়ে চিন থেকে আগত যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়।  অপরদিকে চিন থেকে অন্য়ান্য় দেশে যেতে হলে যাত্রীদের দিতে হবে স্বাস্থ্য় পরীক্ষার রিপোর্ট। যাত্রীদের সেখানে উল্লেখ করতে হবে, গত চল্লিশ দিন তাঁরা ইউহান প্রদেশে যাননি এবং তাঁদের জ্বর ও সংক্রমণ নেই। চিন ছাড়ার আগে একটি কপি থাকবে যাত্রীর কাছে। অন্যটি রাখবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

 

আরও পড়ুন, বাসের ভাড়া ন্যূনতম ৯ টাকা করার দাবি, ফের আন্দোলনে নামবে মালিকপক্ষ

করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কীভাবে বোঝা যাবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-

১) করোনা ভাইরাস প্রাথমিক ভাবে সর্দি-কাশি থেকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
২) সর্দি-কাশির সঙ্গে থাকে প্রবল জ্বর এবং শ্বাস কষ্ট। আর এই জ্বর-শ্বাসকষ্টই একসময় বাড়তে বাড়তে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। 
৩) করোনা ভাইরাস নাক, সাইনাস অথবা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়। ভাইরাসটির লক্ষ্য মূলত ফুসফুস।

মূলত কোথা থেকে আসছে এই  করোনা ভাইরাসে, কোন কোন বিষয়ে সাবধান থাকবেন-

মূলত গবাদি পশু থেকেই ছড়ায় এই করোনা ভাইরাস। তাই পশু-পাখি ও গবাদি পশুর সংস্পর্শে থাকা মানুষদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে। পশুর লোম, মল থেকেই এই ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। একদিকে যেমন পশুর দেহ থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে আসতে পারে অপরদিকে, মানুষের দেহ থেকেও পশুর দেহে যেতে পারে এই ভাইরাস। সুতরাং এই বিষয়গুলি নজরে রাখবেন।