সংক্ষিপ্ত

শহরের নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশের অফিস যাতায়াতে বেশ সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশনের একদিকে ফুলবাগান মেট্রো এবং অন্যদিকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।

বড় দিনের (Christmas) বড় উপহার শহরকে (Kolkata)। ডিসেম্বর (December) মাসেই চালু হতে চলেছে শিয়ালদহ মেট্রো (Sealdah Metro)। জুড়ে যাচ্ছে সেক্টর ফাইভও(Sector Five)। ফলে শহরের নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশের অফিস যাতায়াতে বেশ সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশনের একদিকে ফুলবাগান মেট্রো এবং অন্যদিকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন।  তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনেও। 

শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানান, শিয়ালদহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেশন হতে চলেছে। কারণ শহরতলির বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে মেট্রো ধরবেন। তাই ভীড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশস্ত জায়গা প্ল্যাটফর্মে পাঠানো সবটা বুঝেই আমরা কাজ করেছি। যাতে মানুষের অসুবিধা না হয়।' 

শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্টেশনে থাকছে ৯ টি সিড়ি। দক্ষিণের দিকে থাকা প্রশস্ত জায়গা দিয়ে সহজেই যাতাযাতের রাস্তা। সুবিধার জন্য বেশ চওড়া করা হয়েছে এটি। এছাড়াও মেট্রো স্টেশনে ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য থাকছে একাধিক প্রান্তে সিঁড়ি। স্টেশনে থাকছে মোট ১৮টি এসক্যালেটর।

শুধু দরকার সবুজ সংকেতের। আর সবুজ সংকেত মিললেই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ স্টেশন চালু হবে। গোটা বিষয়টি চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন এবং লাইন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। সিগন্যালিং থেকে সিসিটিভি মনিটারিং, এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম, বিদ্যুৎ সরবরাহ—সব কিছু খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া যাবে। 

Oil Price Reduced-এক ঝটকায় সস্তা তেল, লিটার প্রতি ৮টাকা দাম কমাল এই রাজ্য

1971 War: ভারতকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে দিয়েছিল একাত্তরের যুদ্ধ

শীতের আমেজ গায়ে মেখে যাতে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ অনায়াসে যাতায়াত করা যায় তার ব্যবস্থা করতে চলেছে মেট্রো রেল। এই রুটে পরিষেবা চালু হলে শহরতলী থেকে মানুষ এসে সহজেই বড়দিনের উৎসবে সামিল হতে পার্ক স্ট্রিটে আসতে পারবেন। এর আগে গতবছর অক্টোবর মাসে চালু হয় ফুলবাগান মেট্রো। ফেব্রুয়ারি মাসেই স্টেশনের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কথা ছিল ৩ মাস আগেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি পরিদর্শন সারবেন। তবে করোনা এসে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। তবে ভেতরে ভেতরে সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল।

সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে মেট্রো ছাড়ার পরেই ফুলবাগানে মাটির তলায় প্রবেশ করে ট্রেন। এই অংশে সিগন্যালিং ব্যবস্থার পরীক্ষা করা হয় একাধিকবার। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় বাকি সমস্ত পরীক্ষার কাজ আগেই শেষ করা হয়। সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম অবধি মেট্রো চালিয়ে ট্রেনিংও গতবছরই সেরে ফেলা হয়। সুড়ঙ্গ পথে আর নতুন করে সেই পরীক্ষা করতে হয়নি।