সংক্ষিপ্ত
উপনির্বাচনের আগেই ১৪৪ ধরা করা হল ভবানীপুরে। রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র ভবানীপুর, তাই কোনও ভাবেই ঝুঁকি নিতে চায় নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন ভবানীপুরে (Bhabanipur By Election 2021)। চাপা উত্তেজনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আর উপনির্বাচনের আগেই ১৪৪ ধারা করা হল ভবানীপুরে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)।
আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election:ভবানীপুরে ধুন্ধুমারকাণ্ডে দিলীপের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৮
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এার তাঁর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল (Priyanka Tibrewal)এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাস (Srijib Biswas)। রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র ভবানীপুর, তাই কোনও ভাবেই ঝুঁকি নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, রাজ্যে দুটি কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত ছিল। আর ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি ছিল। এদিকে একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে প্রথমে নির্বাচন কমিশন। তা হল ভবানীপুর। ভবানীপুরের ভোট আটকাতে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারে বলে নিশানা করেছিল বিজেপি। এরপরেই বাকি অন্য কেন্দ্রে একসঙ্গে কেন নয়, শুধু ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে, এইনিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবানীপুরের উপর্নির্বাচন আটকাতে মুখ্যসচিবের চিঠিকে হাতিয়ার করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার এই মামলার রায়দানে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালএর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে আগামী ৩০ তারিখ ভবানীপুরের উপনির্বাচন নির্ধারিত দিনেই হবে। তবে ভোটের পর ১৭ নভেম্বর এই মামলার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে খবর।
প্রথম থেকেই ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার ঘিরে একাধিক বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকেই কোভিড বিধি নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা হুঁশিয়ারী এসেছে বিজেপির থেকেও। প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিলে তুলকালাম হয়েছে কালীঘাট। এরপর রবিবার মমতার পাড়ায় সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের হয়ে ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারছিলেন তাঁরা। এরপরেই প্রচার করতেই গিয়ে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে ঢুকতে যান । আর তখনই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। এরপরেই বচসা এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সুজনরা। কোভিডবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করে পুলিশ। প্রচারের শেষ দিন সোমবারে যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ এসেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভবানীপুর থানা জামিনযোগ্য ধারায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এহেন হেভিওয়েট কেন্দ্র ভবানীপুরকে নিয়ে তাই কোনওভাবেই আপোস করতে রাজি নয় কমিশন। তাই উপনির্বাচনের আগেই ১৪৪ ধারা করা হল ভবানীপুরে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা