সংক্ষিপ্ত
রবিবার ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের র্যাফের জওয়ানরা শহরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মার্চ শুরু করে দিয়েছে।
রাত পেরোলেই পুরভোট (KMC Polls 2021) । রবিবার ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ক্রমে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের র্যাফের জওয়ানরা শহরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মার্চ শুরু করে দিয়েছে (Kolkata Police)।
শুক্রবার বিকালে প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই কলকাতা পুলিশের র্যাফের জওয়ানরা শহরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে।প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে প্রথম থেকেই পুরভোট করাতে চেয়ে আবেদন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের পর কলকাতা হাইকোর্টেও ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবির । কারণ নিপাপত্তার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসা হাইকোর্টের। পুলিশ কমিশনারকেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের একক বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কলকাতা পুরভোট করানোর আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির চার প্রার্থী। সেন্ট্রাল ফোর্স এর ডিপ্লয়েড করার জন্য বিরোধীদের দাবি, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট তা নাকচ করে দিলেও, বিরোধীরা ফের সেন্ট্রাল ফোর্স এর দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। সেন্ট্রাল ফোর্স কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে ডেপ্লয় করা হবে কিনা শেষ পর্যন্ত তা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের র্যাফ-এর ফোর্স রুট মার্চের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে শহর কলকাতার পুরভোটকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে সমস্ত রকম পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার প্রচার এর শেষ লগ্নে কলকাতা পুলিশের র্যাফ ফোর্সের রোডমার্চ নজর কাড়লো শহরবাসীর।
অপরদিকে, পুরভোটের জন্য কলকাতার প্রবেশদ্বার গুলিতে চলছে নাকা চেকিং। নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কড়া তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে। ঢালাই ব্রীজ ও গড়িয়া শীতলা মন্দির এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি ও বাইক চেকিং করছে পুলিশ। সারারাত ধরেই কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এইসব এলাকায় নাকা চেকিং চালানো হয় বলে বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুরভোটের জেরে কলকাতার একাধিক ওয়ার্ড উত্তপ্ত রয়েছে। দলীয় পতাকা পুড়ে দেওয়া এবং হোর্ডিং ছিড়ে নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্য়েই তৃণমূল ও বামেরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এবং পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছে।