সংক্ষিপ্ত
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এবার 'বিশ বাঁও' জলে পার্থ। 'ব্যাক্তিগত' কারণ দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্র সামন্ত।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এবার 'বিশ বাঁও' জলে পার্থ। উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 'ব্যাক্তিগত' কারণ দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্র সামন্ত। বিচারপতি ট্যান্ডন জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাক্তিগত কারণে আর মামলা শুনবেন না।
মূলত দুটি মামলা রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে খারিজ করার জন্য একটি মামলা এবং দ্বিতীয়টি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় 'রক্ষা কবচ' বাড়ানো নিয়ে মামলা। আর এই মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্র সামন্ত। বিচারপতি ট্যান্ডন জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাক্তিগত কারণে আর মামলা শুনবেন না। করাণ এর আগে এসএসসি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। তাঁৎ অভিযোগ ছিল, তিনি যে মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেয়েছেন অভিযুক্তরা। সেক্ষেত্রে কেন বারবার তাঁর হাত বাধাঁ হচ্ছে, অভিজিৎ তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানিয়ে দেন, এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা তিনি শুনবেন না।
আরও পড়ুন, ২৪ ঘন্টা পার, পরেশের খোঁজে টর্চ নিয়ে রাস্তায় এসএফআই, আজ 'মিসিং' ডাইরি করবে বামেরা
তবে অনুমান করা হচ্ছে, পের আইনজীবীরা দ্বারস্থ হতে পারেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ঘরে। উল্লেখ্য, সিবিআই দফতর হাজিরা এড়াতে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই হাজিরার বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে যেনও গ্রেফতার করা না হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছিল , হাইকোর্টে। বুধবার কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের মামলা নিতে আগ্রহী হয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্য়ান্ডের বেঞ্চ। কিন্তু পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি ছিল। তাই বৃহস্পতিবার পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অপরদিকে, এসএসসিকাণ্ডে যদিও এদিন পার্থকে ডাকেনি সিবিআই। বুধবার সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। এবার উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পার্থর বয়ান মিলিয়ে দেখার জন্য, কাজ শুরু করে তদন্তাকারীর দল। বয়ান যদি না মেলে, তাহলে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট আগেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ছাড়া পান প্রায় তিন ঘণ্টা পরে। সূত্রের খবর, তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে টানা জেরা করে সিবিআই কর্তারা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জন্য আগে থেকেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে রেখেছিল। সেইমতই জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। যদিও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সেখান থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।