সংক্ষিপ্ত

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি এবার বেআইনি ভাবে যেসব প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে সরাসরি বার্তা দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,টাকা দিয়ে বা অন্য কিছুর বিনিয়ম চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরাই চাকরি ছেড়েদিন

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি এবার বেআইনি ভাবে যেসব প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে সরাসরি বার্তা দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,টাকা দিয়ে বা অন্য কিছুর বিনিয়ম চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরাই চাকরি ছেড়েদিন। তাহলে আদালত কোনও ব্যবস্থা নেবে না। নাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আদালত ব্যবস্থা নেবে। বেআইনি নিয়োগ প্রার্থীদের চাকরি ছাড়ার ডেডলাইনও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন ৭ নভেম্বরের মধ্যেই চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। 

বিচারপতি অভিজিৎ সঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'যারা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের কাছে আদালতের আবেদন তারা আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করেন। যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন বা দুর্নীতির করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরাই সব জানেন। হয় টাকা দিয়েছেন নয় অন্য কিছু করে চাকরি পেয়েছেন।' এখানেই শেষ নয়, দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নিজেরা যদি ইস্তফা না দেন তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন তাঁরা অন্য চাকরির জন্যও আগামী দিনে আবেদন করতে পারবেন না। 

এখানেই শেষে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির কথা এদিন আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি। অভিজিৎ  গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি-র উদ্দেশ্যেও বলেন দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি ছাড়ার কথা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। যারা স্বেচ্ছোয় চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। অন্যদিকে যারা পদত্যাগ করবেন না তারা যাতে আগামী কয়েক বছর চাকরি না পান তাও দেখার দায়িত্ব নিতে হবে এসএসসিকে। 

এদিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করে সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।  কিন্তু রিপোর্ট নিয়ে তিনি রীতিমত উদ্বোগ প্রকাশ করেছেন। সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে সাদা খাতা জমা দিয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছে। তবে কারা কারা শূন্য পেয়েও চাকরি পেয়েছে তার লিস্ট তুলে ধরবে সিবিআই। অক্টোবরে বোর্ডের সঙ্গে কমিশনের একটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পরই বিস্তারিত রিপোর্ট সামনে আসবে। 

পাশাপাশি সিবিআই-এর ভূমিকার প্রশংসা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রীতিমত ভাল কাজ করছে সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। 

অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের জামিন মামলারও শুনানি হয় এদিন। সেখানে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে জানান হয়  বর্তমানে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। যখনই জেরা করা হচ্ছে তখনই নতুন করে ২৫-৩০ কোটি টাকার কথা সামনে আসছে । নতুন নতুন সম্পত্তি বা কোম্পানির কথা সামনে আসছে। এই মামলাতে পার্থ-অর্পিতার জামিনের আর্জিও খারিজ হয়ে যায়।