সংক্ষিপ্ত
দিল্লি উড়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। সকাল ৭.১০ মিনিটের বিমান ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
দিল্লি উড়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip ghosh)। সকাল ৭.১০ মিনিটের বিমান ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তবে তার আগে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সারা জীবন চামচা হয়েই কাটিয়ে দিলেন। তাঁর এক পড়াশুনা, এত শিক্ষা কিছুই কাজে না লাগিয়ে চামচাগিরি ও দাসত্ব করেই কাটিয়ে দিলেন। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন এরকম শিক্ষা থেকে লাভ কী, যার কোনও স্বাভিমান নেই, নীতি নৈতিকতা নেই।
এদিন সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন গত সপ্তাহে সংসদে অধিবেশনের কাজ ঠিক মতো করতেই দেননি বিরোধীরা। এই সপ্তাহে তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলেই আশা করা যায়। যাতে সংসদীয় কাজ ঠিক মত চলে, বিল পাস হয় মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরা সম্ভব হয়, তারজন্য অধিবেশন চলা জরুরি।
সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়ে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে তিনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হাত জোড় করতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালেও উনি করেছিলেন। মিটিং রেডি করেছিলেন ব্রিগেডে এবার বুঝতে পেরেছেন, বাকি বিরোধীরা সবাই সাফ হয়ে গেছে। ওনার পার্টির মধ্যে যেরকম খুনোখুনি শুরু হয়েছিল । ২০২৪ এর নির্বাচনে লড়তে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পশ্চিমবাংলার যে আর্থিক অবস্থা, যে ধরনের আইএএস আইপিএস নীল বাতি, এখন আবার স্টাইপেন্ডের দুর্নীতি জড়িয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি বাড়ছে সরকার চালাবার মতো পরিস্থিতি আর নেই। তাই মোদীজির কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন, আমি আর পারছি না সাহায্য করুন।
তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপি পরাজিত হয়েছে রাজ্যে এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিজেপির সাড়ে ১০ শতাংশ ভোট ছিল পাঁচ বছর আগে সেটা ৩৮ শতাংশ হয়েছে বর্তমানে। তিন থেকে ৭৭ টা আসন পেয়েছেন। পরাজিত হয়েছে সিপিএম কংগ্রেসের শেষ হয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ছিলেন সেখানে আছেন ,আমরা এগিয়ে গেছি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রমোশন চাইছেন। তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মানুষ ওনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। বুঝে গেছেন বিধানসভাতে উনি নিজেই হেরেছেন। সেইজন্য 'গায়ে মানে না আপনি মোড়ল' করলে কী হবে অনেক পার্টি আছে, যাদের কিছু নেই কাজ নেই। তারা ঘুরে ঘুরে পলিটিক্যাল ট্যুরিজম করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এজেন্সি নিয়েছেন।'