সংক্ষিপ্ত

  • মহালয়ায় রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগ
  • লঞ্চে চড়েই তর্পণ করা যাবে গঙ্গায়
  • বেলুড় মঠ, কুমোরটুলিও ঘোরানো হবে দর্শনার্থীদের

মহালয়া মানেই পুজোর আনন্দ শুরু হয়ে যাওয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। আর সে কথা মাথায় রেখেই মহালয়ায় তর্পণ- সহ গঙ্গাবক্ষে ঘোরার অভিনব সুযোগ নিয়ে হাজির হল রাজ্য পর্যটন দফতর। 

মহালয়ার দিন সকাল থেকে পর্যটন দফতরের লঞ্চে চড়ে এই গঙ্গাবক্ষে সারাদিন কাটানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। থাকছে তর্পণের ব্যবস্থাও। এর সঙ্গে বাড়তি পাওনা বেলুড় মঠ দর্শণ এবং কুমোরটুলিতে ঠাকুর তৈরির শেষ বেলার ব্যস্ততা চাক্ষুস করার সুযোগ। 

আরও পড়ুন- পেশায় পুলিশ-নেশায় শিল্পী, 'দেবী' গড়েন মালদহের বিষ্ণু

পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। তার জন্য নিউ বাবুঘাট জেটিতে সকাল সাড়ে সাতটায় পৌঁছে যেতে হবে। লঞ্চ থেকেই গঙ্গায় তর্পণের সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। যাঁরা তর্পণ করতে আগ্রহী, তাঁদের কোশা কুশি নিয়ে যেতে হবে। এর পর লঞ্চে করেই গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে তর্পণের দৃশ্য দেখানো হবে দর্শনার্থীদের। দেওয়া হবে নিরামিষ ব্রেকফাস্ট। দুপুরে নিরামিষ লাঞ্চের ব্যবস্থাও থাকছে। 

এর পর উত্তর কলকাতার বিভিন্ন ঘাট পেরিয়ে লঞ্চ চলে যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। গঙ্গা থেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শণ করানো হবে। সেখান থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে বেলুড় মঠ। লঞ্চ থেকে নেমে বেলুড় মঠ ঘুরে দেখে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বেলুড় মঠ থেকে লঞ্চ ফিরতি পথে চলে আসবে কুমোরটুলির কাছে। লঞ্চ থেকে নেমে পটুয়াপাড়ায় ঠাকুর তৈরি দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। সবশেষে কুমোরটুলি ঘুরিয়ে ফের লঞ্চে করেই নিউ বাবুঘাট জেটিতে পৌঁছে দেওয়া হবে যাত্রীদের। বিকেল তিনটের সময় শেষ হবে যাত্রা। মাথা পিছু খরচ পড়বে ১৬০০ টাকা করে। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ জিএসটি যুক্ত হবে।