সংক্ষিপ্ত

  • পেশায় তিনি জেলা পুলিশের হোমগার্ড
  • নেশা অবসর সময়ে দুর্গার প্রতিমা গড়া
  • মালদহের বিষ্ণু মানেই দুর্গাপুজোয় চমক 


পেশায় তিনি জেলা পুলিশের হোমগার্ড। নেশা অবসর সময়ে দুর্গার প্রতিমা গড়া। মালদহের বিষ্ণু সাহা মানেই এবার দুর্গাপুজোয় কিছু নতুন চমক। 

পুলিসের হোমগার্ড পদে থেকেও যত্নে লালন করেছেন তাঁর শিল্পীসত্তা। ইতিমধ্যেই শিল্প কর্মের জন্য পেয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি একাধিক পুরস্কার। এবার তাঁর হাতে রূপ পেয়েছে ৩৫ কেজি জাল বোনার সুতো দিয়ে তৈরি দেবী দুর্গার প্রতিমা। তবে শুধু সুতোর কাজের জন্যই অভিনব শিল্পকর্মের পাশাপাশি মালদহের পুজোয় থাকবে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতনতার বার্তা। 
 
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও কখনও টায়ার টিউব, কখনও আমের আঁটি, প্লাস্টিক পাউচ,সুপারির খোল,নারকেল ছোবা অথবা খবরের কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন বিষ্ণু সাহা। যা চোখে পড়েছে সকলের। গত প্রায় দশ বছর ধরে মালদহের দুর্গা পুজোর সঙ্গে এভাবেই জড়িয়েছে এক হোমগার্ড শিল্পীর নাম। ইতিমধ্যই নিজের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন সরকারি বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান।  একাধিক বেসরকারি শারদ সম্মানও এসেছে তাঁর ঝুলিতে। এবার তাঁর চমক জাল সুতোর 
প্রতিমা।

বাঁদরের কামড়ে জখম বিধায়ক, পাগল বাঁদর চিনতে 'কামান দাগা'

২০০০ সালের চিঠি পৌঁছল ২০১৯-এ, মেসেজ পেয়ে হতবাক প্রেরক

প্রথমে খড়ের ওপর প্লাস্টার অফ প্যারিসের প্রলেপ দিয়ে প্রতিমার অবয়ব তৈরি হয়েছে। এরপর উল বোনার কাটা আর কুরুস কাটায় বোনা জালের সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন বিষ্ণুবাবু। যা উচ্চতায় ১৩ ফুট, চওড়ায় ১৬ ফুট। প্রথিতযশা এই শিল্পী জানান , প্রথমে পরিকল্পনা ছিল তামার তারের দুর্গা তৈরি করবেন। কিন্তু সামর্থ না হওয়ায় পরে অনেকটা তামার তারের মতো দেখতে মাছ ধরার জালের সুতোকেই প্রতিমা তৈরির প্রধান উপকরণ বাছেন। কিন্তু এত শিল্পকর্মের মধ্যেও আক্ষেপ থেকে যায় শিল্পীর। তিনি জানান, প্রতিমা তৈরি করে লাভ হয় না । বরং সখের দুর্গা তৈরি করতে গিয়ে কখনও কখনও নিজের পকেট থেকেই বাড়তি টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু দর্শকদের নতুনত্ব দেওয়ার আশায় কখনই পিছু পা হন না বিষ্ণুবাবু। জালের সুতোর অভিনব দুর্গার পুজো হবে মালদহের পশ্চিম পার্ক বাঘাযতীন ক্লাবের মণ্ডপে। 

এবার ট্রেনেই অ্যাম্বুলেন্স, পুজোর আগেই শিয়ালদহে চালু পূর্ব রেলের প্রণাম, দেখুন ভিডিও

বিজ্ঞাপনের নামে গাছের বুকে ক্ষত, রুখতে পথে নামল 'আকাশ', দেখুন ভিডিও

গত কয়েক বছর ধরেই দর্শক টানতে বিষ্ণুবাবুর শিল্পকর্মই ভরসা এখানকার পুজো উদ্যোক্তাদের। এবারও ওনার ওপরেই আস্থা রেখেছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। প্রতিমায় বাহারি আলো দিয়ে অনন্য রূপ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, শিবের জটা থেকে জল বেরিয়ে শীতল করবে পৃথিবীকে। বার্তা দেওয়া হবে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোড় প্রস্তুতি। মাঝে আর কটা দিনের অপেক্ষা। মণ্ডপের দোর খুললেই দেখা মিলবে হোমগার্ডের মুন্সিয়ানা।