সংক্ষিপ্ত
- সারা রাত-দিন অবিরাম বৃষ্টির ধারাপাত
- কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বিমানবন্দর
- জলমগ্ন শহরের অধিকাংশ এলাকা
- গঙ্গার জলস্তর না কমলে জল নামবে না শহর থেকে
সারা রাতের পর, সারাদিন ধরে চলছে অঝোরে বৃষ্টি, ফল জলমগ্ন কলকাতা। শহর জুড়ে জমেছে জল। লকডাউনের জেরে ঘরবন্দী মানুষ বাড়িতে বসেই চাক্ষুষ করছেন জলমগ্ন কলকাতার নানা রূপ। তবে যাঁরা নিত্য প্রয়োজনে বাইরে বেড়িয়েছেন, তাঁদের অবস্থা শোচনীয়।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সকাল ৭ টা পর্যন্ত গঙ্গার জোয়ার ছিল। গঙ্গায় জলস্তর বৃদ্ধি পাবার ফলে লকগেট খোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জল জমে রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি পূর্বাভাস রয়েছে। তাই পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে আরও, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্ত্বর,আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট জলমগ্ন। জলবন্দি সার্দান অ্যাভিনিউয়ের বেশিরভাগ এলাকা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
পাশাপাশি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই, এর মধ্যে পড়ছে কলকাতাও। তবে পুরসভা জানাচ্ছে, গঙ্গার জলস্তর কমলে কলকাতা বিভিন্ন এলাকায় জল খুব দ্রুত নেমে যাবে।
এদিকে, জলমগ্ন কলকাতা বিমানবন্দর। বিমানবন্দরে নিউ টার্মিনালে জমেছে জল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে রাতভর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতেই জল জমেছে কলকাতা বিমানবন্দরের নিউ টার্মিনালে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মেট্রোর কাজ চলার জন্য নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সেজন্য জল জমেছে।
সাতসকালেই হাঁটুজলে ডুবেছে শহর কলকাতা। সারা রাতের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে কার্যত জলমগ্ন শহর। অফিস থেকে বাজার, যেখানেই যান না কেন, কলকাতার জলছবির সাক্ষী আপনাকে হতেই হবে। তবে বিপত্তির এখানেই শেষ নেই। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সারাদিনের বৃষ্টির পরে হাঁটুডোবা জল কোমর ছাপাতে পারে, এমন আশঙ্কা নেহাত অমূলক নয়। কলকাতার পাশাপাশি, ভারি বর্ষণে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'গতকাল উত্তর প্রদেশ এর উপরের নিম্নচাপ এখন আর নেই। ওটা এখন দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু নিম্নচাপ সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত ওখানে অবস্থান করছে। এছাড়াও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিম পঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া বাংলা সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে আর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে।