সংক্ষিপ্ত
পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল-বিজেপিকে তোপ সুজনের। শুক্রবার সিপিআইএম প্রার্থীদের নিয়ে শেষ লগ্নের পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করলেন সুজন চক্রবর্তী।
পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল-বিজেপিকে তোপ সুজনের। শুক্রবার সিপিআইএম প্রার্থীদের (CPIM Candidate) নিয়ে শেষ লগ্নের পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করলেন সুজন চক্রবর্তী। জিনজিড়িয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে ১৩১ ও ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে ছিলেন বর্ষিয়ান বাম নেতা (Sujan Chakraborty )।
এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'লোকে ভোট দেওয়ার জন্য এবার যাবে। স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। সঠিক ভাবে ভোট হলে বিজেপি তৃণমূলের কপালে দুঃখ আছে। যাতে মানুষ ভোট না দিতে পারে তার জন্য ভোট লুট করবে তৃণমূল. মানুষ বুঝতে পারছে তৃণমূল ভোট লুট করবে। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে পুলিশকে সাথে রেখে ভোট লুট করবে তৃণমূল। যারা কলকাতা পুরসভা চালাচ্ছে, তারা কলকাতা পুরসভার সর্বনাশ করেছে। নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে দেখুন, তাতে যা লেখা আছে, সবই লেখা আছে করব। তাহলে এতদিন কী করল। যেগুলো করা উচিত ছিল, সেগুলো এতদিনে করা হয়নি। যদি কিছু করত তাহলে কিছু রিফ্লেকশন দেখা যেত। আর কোন রিপ্লেকশন আসেনি।এখনও পর্যন্ত পুরসভা ফেলিওর।'অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, 'বিজেপি হল কৃষক বিরোধী। তৃণমূলও তাই। সবাই জানে। রাজ্যে হাহাকার চলছে সারের দাম কয়েক বছরে ব্যাপক বেড়েছে। এখন সার পাওয়া যাচ্ছে না। আকাল, কালোবাজারি চলছে। রাজ্য সরকার দেশের সরকার কৃষকদের পাশে নেই। এইযে সিঙ্গুরে বিজেপি গেছে। দু'দলই আন্দোলন করছে আসলে কম্পিটিশন কে কৃষকের কত ক্ষতি করতে পারবে। বিজেপি যে সিঙ্গুরে গেছে, কার কুশপুত্তলিকা দাহ করবে', বলে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ দাগলেন সুজন চক্রবর্তী।
ইউনেস্কো হেরিটেজের তালিকায় দুর্গাপুজো, এই ইস্যুতে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কো হেরিটেজ ঘোষণা করেছে হেরিটেজ এর অর্থ হচ্ছে ঐতিহ্য। মুখ্যমন্ত্রী এমনভাবে বলছেন তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে উনি কার্নিভাল করেছেন এবং তার জন্যই এই স্বীকৃতি পেয়েছে। কার্নিভালটা ঐতিহ্যের মধ্যে পড়ে না। কারণ যখন আমরা জন্মাইনি তার আগে থেকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপূজো। এই নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের দাবি করাটা অপদার্থতা। ' প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে ইউনেস্কোর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। সুখবর জানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গোটা বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে এটা গর্বের। বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গা পুজে একটি উৎসবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি একটি আবেগ , যা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক করে। এখন দুর্গাপুজো এখন থেকে দুর্গাপুজো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই সম্মানে বাংলার প্রত্যেকটি বাসিন্দা অত্যান্ত গর্বিত', বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।