সংক্ষিপ্ত

মিডিয়া সেল, স্বাস্থ্য সেল, শিল্প সেল, লিগাল সেল সহ রাজ্য বিজেপির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সেলই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির ৩৫টি বিভাগ ও ১৫টি সেল রয়েছে। এবার সবই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(West bengal BJP president Sukanta Majumder)। পুরভোটের (Municipal Election) আগে সুকান্তের এই নির্দেশে স্বভাবতই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিজেপি-র অন্দরে। জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, মিডিয়া সেল, স্বাস্থ্য সেল, শিল্প সেল, লিগাল সেল সহ রাজ্য বিজেপির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সেলই (All the important cells of the BJP) ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই সমস্ত সেল কেন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, সেবিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট ভাবে কিছু না জনালেও, কারণ যে দলীয় বিদ্রোহ তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কারও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে বিজেপি বিধায়ক-নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ কিংবা রাজ্যস্তর থেকে জেলাস্তরের দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরানো রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনকী এই তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না বাদ যাচ্ছেন না সাংসদরা-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও৷ বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই একাধিক বিধায়ক দল ত্যাগও করে ফেলেছেন। এমনকী জেলায় জেলায় কর্মীদের মধ্যে দল বদলের হিড়িক লেগেছে৷ সম্প্রতি বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, অভিনেতা-সাংসদ হিরণ সহ একঝাঁক বিজেপি নেতার গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। দলীয় ক্ষোভ সংক্রমণ ঠেকাতেই বর্তমানে বিপির রাজ্য সভাপতি এই কাজ করলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি করেছেন সুকান্ত। সেই কারণেই এই সেল ভাঙার কাজ হয়ে থাকতে পারে বলে মত অনেকের।

আরও পড়ুন- 

এদিকে এই সমস্ত সেল গুলিই আদপে দলের নীচু তলায় কাজ করার সুবিধার্থে তৈরি করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলিই এবার ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় আগামী পুরভোটে কীভাবে তৃণমূল স্তরে কাজ হবে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। হাতে যেখানে ভোটের আগে বাকি আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন তার আগে আদৌও কী বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেই বিষয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে এনিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ মুখ খুলতে চাননি। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে চাপা গুঞ্জন। তবে বিজেপির একাংশ মনে করছেন, সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই সুকান্ত বলেছিলেন দলকে শক্তিশালী করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। সেই কাজই নতুন উদ্যোমে শুরু করেছেন তিনি। তবে সেল ভেঙে কোন রাস্তায় দল শক্তিশালী হয় এখন সেটাই দেখার।