সংক্ষিপ্ত
কলেজস্ট্রিটের প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পল্টন বাপি টি স্টল। সেখানে চা পান করতে গেলেই মিলবে ফ্রিতে গান শোনার সুযোগ। সঙ্গে মিলবে বিস্কুট ফিশ ফিঙ্গারও। আর সেখানেই এবার জমছে ভিড়।
কলেজ স্ট্রিট মানেই বইপাড়া, আর বইয়ের পাতার গন্ধের সঙ্গে চায়ের কাপের এক অদ্ভুত সমীকরণ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে থাকে বাঙালিরা। তাই গোটা কলেজস্ট্রিট জুড়ে গজিয়ে উঠেছে নানান চায়ের দোকান। তবে প্রাণ কেন্দ্র সেই কফি হাউস। আড্ডা আর বইয়ের মাঝে এক ঐতিহাসিক স্বাদ। এই পরিস্থিতিতে যদি একটু ভিন্ন স্বাদের আমেজ তুলে ধরা যায়, তবে তা বলাই বাহুল্য। বিষয়টা ঠিক কেমন! তা হল সকলের প্রিয় গান।
এবার কলেজস্ট্রিটের প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পল্টন বাপি টি স্টল। সেখানে চা পান করতে গেলেই মিলবে ফ্রিতে গান শোনার সুযোগ। সঙ্গে মিলবে বিস্কুট ফিশ ফিঙ্গারও। আর সেখানেই এবার জমছে ভিড়। না, কোনও রেকর্ড নয়, দিনভর কিশোর কুমারের গান নিজেই গাইতে থাকেন পল্টনবাবু। হাতে চলছে চা তৈরির কাজ, ঠোঁটে গুরুদেবের গান। তবে গানের কোনও তালিম নেন তিনি। তবুও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ কুমার শানু থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রতিবছরই কিশোর কুমারের জন্মদিনে থাকে বিশেষ আয়োজন। সকাল ৯ টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই দোকান। দোখানে সবসময় রাখা থাকে কিশোর কুমারের ছবি। বাংলা থেকে হিন্দি গান, তাঁর কণ্ঠে মেলে সব রকমের গানের স্বাদ। মেজাজের সঙ্গে মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকেন তিনি। এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কিশোর কুমারের ভক্তরা হামেশাই তাঁর দোকানে ভিড় জমিয়ে থাকেন। লিমকা বুক অব রেকর্ডে রয়েছে তাঁর নামও। তাই কিশোরের গানে মেতে উঠতে বইপাড়ার পল্টনবাবুর দোকানে বারে বারে যেতেই হবে।