সংক্ষিপ্ত
- সিঁথি কান্ডে নতুন মোড়, নিখোঁজ একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী
- প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন আশুরা বিবি
- অন্তঃসত্ত্বা আশুরা বিবি ডাক্তার দেখাতে বেরিয়ে নিখোঁজ
- এদিকে তাঁর বয়ানই এই মুহূর্তে সিঁথি কান্ডের জট খুলতে পারে
সিঁথি কান্ডে নতুন মোড়। সিঁথি থানায় পুলিসের 'মারধর'-এ প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী আশুরা বিবি রহস্য়জনকভাবে নিখোঁজ। এদিকে এইমুহূর্তে আশুরা বিবি কোথায় আছে জানে না কেউ। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন, সাজা শেষে জেলে রাখা যাবে না রোহিঙ্গাদের, রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট
সূত্রের খবর, এগারো মাস আগে আশুরা বিবি ৫ শিশু সন্তানকে নিয়ে পাইকপাড়ার রাত্রিবাসে এসে ওঠেন। এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আশুরা বিবি। তাঁর স্বামী রিকশাচালক। আশুরা বিবি কাগজ কুড়িয়ে উপার্জন করেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ সিঁথি থানার ২ পুলিসকর্মী রাত্রিবাসে আসেন ও তাঁকে থানায় নিয়ে যান। তারপর রাত ১০টা নাগাদ রাত্রিবাসে ফেরত আসেন আশুরা। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা বলে আশুরা বিবি বাইরে যান। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, সিঁথি কান্ডের বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি, সিঁথির ঘটনায় সম্পূর্ণ তদন্তপ্রক্রিয়াটি-ই হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ও মানবাধিকার কমিশনে।
আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম
এদিকে পাইকপাড়া এলাকায় একটি আবাসন থেকে কল ও কলের পাইপ চুরির অভিযোগ ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। ওই মহিলা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, তিনি গোটা পাঁচেক পেতলের কল চুরি করেছেন।আরও জানান যে, তিনি ওই কলগুলি বিক্রি করেছেন রাজকুমার সাউ নামে চিৎপুরের এক ব্যবসায়ীকে, যিনি পুরনো জিনিসপত্র কেনেন। এরপরেই তার কথাতেই থানায় ডেকে পাঠানো হয় রাজকুমার সাউ নামের ওই ব্য়বসায়ীকে। এরপর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারের চোটেই মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের। এরপরই সিঁথি কাণ্ডে ৩ জন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মৃত রাজকুমার সাউয়ের ভাই। এই ঘটনায় এসআই সৌমেন্দ্রনাথ দাস, এসআই অরিন্দম দাস এবং সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্তির নামে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। অভিযুক্ত এই ৩ পুলিসকর্মীকেই ক্লোজ করা হয়। অপরদিকে, শিয়ালদহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাজকুমার সাউয়ের পরিবারের ৪ জন সদস্যের বয়ান রেকর্ড করা হয়। উল্লেখ্য, এখন সিঁথি থানার ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। তদন্তের দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত কমিশনার দময়ন্তী সেন।