সংক্ষিপ্ত
- ভক্তের কথায়, বিবেকানন্দ রূপে ফিরে এলেন স্বামী কৃপাকরানন্দ
- বন্ধুর ভাইরাল পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে একাধিক অবাক করা খবর
- যিনি একসময় মাধ্যমিক পরীক্ষায় পঞ্চম ও উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম হন
- সন্ন্য়াস নেবার আগে গিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে হার্টের উপর গবেষণা করতে
বিবেকানন্দ ফিরে এলেন স্বামী কৃপাকরানন্দ রূপে। এমনটাই মত সাধারণ মানুষের। কেউ আবার শুধুমাত্র প্রণাম করে মনে মনে জানাচ্ছেন 'মহারাজ এ কি সাজে, এলে হৃদয় মাঝে'। বিভিন্ন রূপে ও ভাবনায় সোশ্যাল মাধ্যমে এই মুহূর্তে ভাইরাল স্বামী কৃপাকরানন্দ।
আরও পড়ুন, জমি পাইয়ে দেবার নামে তছরুপ, প্রতারককে শিক্ষা দিতে গিয়ে শ্রীঘরে অভিকারীরা
সম্প্রতি এই পোস্ট ভাইরাল হওয়া শুরু করেছে। তারপর থেকেই মুগ্ধ ভক্তরা শেয়ার করছেন স্বামী কৃপাকরানন্দজী-র সাধারণ মানুষ হিসাবে জীবনের গল্প। সূত্রের খবর, যিনি জীবনে বড়সড় হার্ট স্পেশালিস্ট হতে পারতেন কিংবা খ্য়াতানামা সঙ্গিতজ্ঞ বা চিত্রশিল্পী। একসময়ের এনআরএসের রুমমেট যাকে সন্ন্যাস বেশে দেখে চমকে গিয়েছেন। ডাক্তারি পড়াকালীন সেই দেবোতোষকেই স্বামীজির বেশে দেখে স্বভাবতই অবাক হয়ে গিয়েছেন তার বন্ধু। তিনি আরও জানিয়েছেন, দেবতোষের বাবা ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী। মা ছিলেন সরকারী কলেজের অধ্য়াপিকা। এত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও দেবতোষ ছিলেন মাটির মানুষ।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় সতর্ক কলকাতা চিড়িয়াখানা, কড়া নজরদারি বিদেশিদের উপরে
সূত্রের খবর, বন্ধুর সেই ভাইরাল পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে একাধিক অবাক করা খবর। তিনি তার পোস্টে বন্ধু দেবোতোষের মেধার কথা উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, সন্ন্য়াস নেবার আগে তার বন্ধু ১৯৮৯ এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান এবং ১৯৯১ এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম অধিকার করে। এখানেই শেষ নয়, জয়েন্ট-এ মেডিকেল রাঙ্ক আসে ১৭। তারপরে কলকাতা এন আর এস মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯১ ব্যাচ ফার্স্ট ইয়ারের শেষ দিকে তার রুমমেট হয়ে আসেন দেবতোষ। এমএমবিবিএস সম্পূর্ণ করে তিনি চলে যান দিল্লীর এইমস-এ এমডি করতে। এমডি ডিগ্রি শেষ হতেই দেবতোষ পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে হার্টের উপর গবেষণা করতে। দীর্ঘ কয়েকবছর হার্টের ওপর গবেষণা করার পরে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক বছর পরে খবর পাওয়া যায় যে, দেবোতোষ সন্ন্যাস নিয়েছে। কামারপুকুরে জয়ন্ত মহারাজের কাছের থেকে জানতে পারেন, দেবোতোষ মহারাজ বেলুড় মঠের আরোগ্য ভবনের দায়িত্ব নিয়ে ফিরে এসেছেন।