সংক্ষিপ্ত
রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির জেরে জোড়া দুর্ঘটনা। মহানগরীর রাস্তায় বিলাসবহুল এক গাড়ি তীব্রবেগে ছুটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মন্দিরে ধাক্কা মেরেছে। পাশাপাশি বালিগঞ্জ স্টেশনের রেল লাইনে চার চাকার গাড়ি তুলে দিল এক মদ্যপ চালক।
রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির জেরে জোড়া দুর্ঘটনা (Accident)। এমনিতেই জাঁকিয়ে শীতে শহরে নিস্তব্ধতা আরও বেড়েছে।সামান্য আওয়াজও অনেক দূর থেকে শোনা যাচ্ছে। তবে সেই নিস্তব্ধতা ভেদ করেই মহানগরীর রাস্তায় বিলাসবহুল এক গাড়ি তীব্রবেগে ছুটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মন্দিরে ধাক্কা মেরেছে। গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হতেই এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি বালিগঞ্জ স্টেশনের রেল লাইনে চার চাকার গাড়ি তুলে দিল এক মদ্যপ চালক। ওই সময়ে কোনও ট্রেন না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল আরোহীরা। তবে এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে রেল পুলিশ (Rail Police)।
তপসিয়া থানা এলাকায় দীঘি পাড়া শীতলা মন্দিরে সজোরে ধাক্কা মারে বিলাসবহুল একটি গাড়ি। গাড়ির গতিবেগ এতটাই ছিল, যার জেরে ওই মন্দিরের বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। স্থানীয়দের দাবি, গাড়িতে একজন যুবক এবং যুবতি ছিলেন। এবং তাঁরা মদ্যপ অবস্থাতেই গাড়ির ভিতরে ছিলেন বলে অভিযোগ। গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই যুবক। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটিকে উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। দুর্ঘটনার জেরে মন্দিরের ভাঙা অংশের মেরামতির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
অপরদিকে, আরও এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বালিগঞ্জ স্টেশন এলাকায়। শনিবার রাতে বালিগঞ্জ স্টেশনের রেল লাইনের উপর চার চাকার গাড়ি তুলে দেয় এক মদ্যপ চালক। তবে এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে জিআরপি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ বালিগঞ্জ স্টেশনের ৪ নং এর পাশের লাইনের উপর একটি চার চাকা গাড়ি উঠে যায়। লাইনের উপর দিয়ে ১০০ মিটার ছুটে গেল গাড়িটি। ওই সময়ে কোনও ট্রেন না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল আরোহীরা। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় গাড়িটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে এই খব পেয়ে ছুটে আসে রেল পুলিশ। দেখা যায়, বালিগঞ্জ স্টেশনের ৪ নং এর পাশের লাইনের উপর একটি চার চাকা গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়ির ভিতরে ছিলেন দুজন যুবক ও দুজন যুবতী। ভিতরে থাকা চার জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির ভিতরে থাকা চার জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। গাড়ির ভিতর থেকে বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে। শহরে পরপর জোড়া দুর্ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।