সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ৩% ডিএ-র উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে না।
দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে, আর একের পর এক বাহানা তুলে মামলার তারিখ পিছোচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ তুলল সরকারি কর্মচারী পরিষদ। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ফের সময় চাওয়ায় বকেয়া ডিএ মামলার তারিখ পিছোল হাইকোর্ট। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কর্মচারী পরিষদ। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ঘুরে ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় চাইলেন রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী। ফলে আরও পিছোল এই মামলার শুনানি।
কার্যত দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ডিএ মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে এই বিষয়ে মামলা হয়। ডিএ মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে একাধিকবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে উঠেছে। সেখান থেকে ফেরত এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেখানেও শুনানিতে অহেতুক বারবার সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কর্মচারী পরিষদের।
পরিষদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম বলেন, "মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের আইনসিদ্ধ অধিকার না দেওয়া বেআইনি । আর রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে সেটাই করে চলেছে।" কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র টাকা নিয়েই সরকার বিভিন্ন জায়গায় খরচ করছে। এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ৩% ডিএ-র উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে না।
দেবাশিস শীল আরও অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের ডিএ দেওয়ার সদিচ্ছা নেই। যেখানে কলকাতা হাইকোর্ট এক রায়ে বলে দিয়েছিল ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার, সেখানে কীভাবে রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারে। এদিন তিনি বলেন রাজ্য সরকার এই মামলায় হার নিশ্চিত জেনে কেবল সময় নষ্ট করছে। সরকার যতটা আগ্রহী লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা দিতে, যতটা আগ্রহী বারোয়ারি পুজোর ক্লাবগুলিকে টাকা করে দিতে, এবং বিভিন্ন খেলে-মেলা খাতে টাকা খরচ করতে, ততটাই উদাসীন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে।
তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষের কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না, সরকারি ডিএ মামলা ছ'বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা ওঠেনি। তাতেই এত বছর ধরে আটকে রয়েছে মামলা। তবে এই মামলা তাঁরা চালিয়ে যাবেন। সরকার বাধ্য হবে ডিএ বাড়াতে। হাইকোর্টের রায়কে তো আর অবমাননা করতে পারেন না। রাজ্যের তরফ থেকে নানারকম যুক্তি দিয়ে মামলা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর। সেটা তারা বন্ধ করবেন।
আরও পড়ুন, তাপপ্রবাহের দাপটের মাঝেই সুখবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই
আরও পড়ুন, 'গ্রামের লোককে গুলি করে ওপারে ফেলে দিয়ে আসছে', বিএসএফ-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মমতা