সংক্ষিপ্ত
- এই দোকানে মিষ্টি বিক্রি হয় মাত্র ২ টাকায়
- মিষ্টির এই দোকানটি ২০০ বছরের পুরনো
- কলকাতার বুকে পেয়ে যেতে পারেন নির্ভেজাল বাঙালিয়ানার স্বা
মিষ্টিপ্রিয় বাঙালি রসনা তৃপ্তির জন্য মিষ্টি খাওয়ার কোনও সুযোগই ছাড়তে চান না। আর সেইসব মিষ্টিপ্রেমিকদের জন্য রইল এমন এক মিষ্টির দোকানের খবর যেখানে আজকের দিনেও মিষ্টি পাওয়া যায় মাত্র ২ টাকায়!
কলকাতায় প্রায় ২০০ বছরের পুরনো মাখনলাল দাস অ্যান্ড সন্স পরিবেশন করে আসছে বিখ্যাত ছাঁচের সন্দেশ। কিন্তু সবথেকে অবাক করা বিষয় হল, এই দোকানে আজও ছাঁচের সন্দেশ বিক্রি হয় মাত্র ২ টাকায়! মনে হতে পারে সস্তার মিষ্টি কি আদৌ সেই পরিমাণ গুণমান সম্পন্ন?- সেক্ষেত্রে বলতেই হয়, ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখে আজও স্বাদ ও গুণমানে এতটুকু আপোস করেনি মাখনলাল দাস অ্যান্ড সন্স। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও মাত্র ২টাকার বিনিময়ে এই কলকাতার বুকে পেয়ে যেতে পারেন নির্ভেজাল বাঙালিয়ানার স্বাদ।
লোকে বলে বংশ পরম্পরায় একইরকম স্বাদের মিষ্টি পরিবশন করে যাচ্ছে জোড়াবাগানের মাখনলাল দাস অ্যান্ড সন্স। এই দুই শতাব্দীতে দোকানের বাহ্যিক সাজসজ্জা ছাড়া আর কোনও বিশেষ পরিবর্তন চোখে পড়ে না। হাতে তৈরি রসগোল্লা, গোলাপ জামুন, জিলাপি, কাজু বরফি, বেসনের লাড্ডু, কালাকাঁদ-এর বিশাল সম্ভার নিয়ে হাজির এই দোকান। শতাব্দী প্রাচীন এই মিষ্টির দোকানের সবথেকে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এখানকার মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা আজও মিষ্টি তৈরি করতে ব্যবহার করেন না কোনও প্রযুক্তি। একেবারে সাবেকি কায়দায় কর্মীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করেন সুস্বাদু সব মিষ্টি। আর এইসব মিষ্টিই তাঁরা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন মাত্র ২ টাকায়।
তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাখনলাল দাস অ্যান্ড সন্স নজর দিয়েছে ফিউশন সন্দেশের দিকেও। ফিউশন মিষ্টির তালিকায় রয়েছে পাইনাপেল সন্দেশ, পেস্তা সন্দেশ, বাটারস্কচ সন্দেশ, রোজ ক্রিম সন্দেশ, ক্রিসপি চকোলেট চিপস ও আরও অনেককিছু। নূন্যতম ২ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত মিষ্টির সম্ভার রয়েছে এখানে। পয়লা বৈশাখ ও বিজয়া দশমীর মতো বাঙালির বিশেষ উৎসবে রীতিমতো দোকানে ঢল নামে মিষ্টিপ্রেমীদের। তাই আর দেরি না করে আজই ঘুরে আসুন।