সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার চেতলার (Chetla) বিভিন্ন রাস্তায় প্রচার সারছেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়েই তুলোধনা করলেন বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীদেরও।
কলকাতা পুরভোটের উত্তাপে ক্রমেই সিক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট দিতে চলেছে কলকাতাবাসী(kolkata)। এদিকে নতুন মাস পড়তে না পড়তেই জোকদমে পুরভোটের(KMC Municipal Polls) প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা দলই। এদিকে শাসক শিবিরের অন্যান্য নেতাদের মতো জোরকদমে প্রচারে মন দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সোমবারই কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। মনোনয়নের আগে চেতলা থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলও করেন ফিরহাদ হাকিম।
এবার মঙ্গলবার চেতলার (Chetla) বিভিন্ন রাস্তায় প্রচার সারছেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়েই তুলোধনা করলেন বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীদেরও। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “বিভাজনের রাজনীতির হত্যার রাজনীতি এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সমালোচনার মাধ্যমে কখনও ক্ষমতায় আসা যায়না, বিজেপির এ বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত। ক্ষমতায় আসতে গেলে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হয় এবং মানুষের মন জয় করতে হয়। বিজেপি দলের নেতা-নেত্রীরা এই কাজটা করতেই ব্যর্থ। বিগত দিনেও এরাজ্যে বিজেপি মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, আগামী দিনে বিজেপি দলটাও এরাজ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন - শেষ পুরভোটে রিগিংয়েই জিতেছিল মমতা ব্রিগেড, বামেদের দাবি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য
এদিকে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী পদে দাঁড়ানোর পর থেকেই ফিরহাদকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল চর্চা। এমনকী প্রত্যহ মিডিয়ার নজরেও রয়েছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে এদিন ফিরহাদের কটাক্ষ শুনে এখও পর্যন্ত বিশেষ প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি পদ্ম শিবিরের নেতাদের। এদিকে রূপা গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য বিজেপির নেতারা দাবী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকি রাজ্যের মানুষের টাকায় বোম্বে গোয়া ত্রিপুরায় ছুটে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের সাফ প্রশ্ন, “ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ছুটে বেড়ান সেটা কি তার নিজের অর্জিত টাকায়? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিল্প সম্ভাবনা তৈরী এবং শিল্প বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে মানুষের স্বার্থে যদি বিভিন্ন শিল্পপতিদের কাছে তাকে যেতে হয় তবে সেটা ক্ষতির কি আছে।” তবে ত্রিপুরা সহ গোয়ায় যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ দলীয় নেতারা যান তা নিয়েও এদিন কথা বলেন ফিরহাদ। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খরচ করা টাকা সম্পূর্ণ ভাবে দলীয় ভাবে অর্জিত টাকা বলেও দাবি করেন তিনি।