সংক্ষিপ্ত
তবে বামেদের এই অভিযোগ নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত ঘাসফুল শিবিরের তরফে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে পুরভোটের উত্তাপ। বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এরইমধ্যে এবার গত পুরভোট নিয়ে শাসক তৃণমূলকে(Trinamool) কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল সিপিএমকে(CPIM)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরভোট(KMC Municipal Polls) উপলক্ষ্যে বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বামেরা(Left)। সেখানেই তারা অভিযোগ করে গত পৌরভোটে রিগিং করে জিতেছে তৃণমূল। এমনকী এর জন্য তৃণমূলের নিজেদের কর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও তারা দাবি করেছে। এদিকে তাদের এই বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই জোরদার চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এদিকে শেষ নির্বাচনে কলকাতা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বিস্তর চাপানউতর শোনা যায়। ওঠে রিগিংয়ের অভি্যোগ। তবে বামেদের অভিযোগ, কলকাতা শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নয় বনগাঁ পৌরসভার(Bangaon Municipality) বাইশটি ওয়ার্ডেই গত পুরভোটে শাসকদল রিগিং করেছিল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিপিআইএম নেতা সুমিত কর বলেন, “২০১৫ সালের আগে পর্যন্ত আমাদের দশটি কাউন্সিলর ছিল। বনগাঁর নয়টি ওয়ার্ডে রিগিং হয়। এর মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে এক ঘণ্টার মধ্যেই ভোট পর্ব শেষ হয়ে যায়।” এদিকে কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি অন্যান্য পুরসভাতেও এবার রিগিংয়ের অভিয়োগ ওঠায় সরকারের উপর যে চাপ বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন-খোলা রয়েছে স্কুল, ক্লাস নিচ্ছেন না শিক্ষিকারা, পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল জঙ্গলমহল
তবে বামেদের এই অভিযোগ নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত ঘাসফুল শিবিরের তরফে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, গত ২১ শে নভেম্বর বনগাঁর একটি রাজনৈতিক সভায় প্রাক্তন প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ২০১৫ পুরনির্বাচনের ভোট নিয়ে বিস্ফোরক সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে তিনি স্পষ্ট বলেন, তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরামর্শেই নাকি তিনি ভোট পরিচালনা করেছিলেন। এদিকে এই ভিডিও নিয়ে এখনও জোরদার চাপানউতর চলছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন-আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতি গ্রেফতার, বারাসাতের পর মালদহে বাড়ছে চাঞ্চল্য
এদিকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট দিতে চলেছে কলকাতাবাসী(kolkata)। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফেলেছে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই। ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬টি আসনে প্রাথী দিচ্ছে না বামেরা। এই আসন গুলিতে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী মূল শক্তিকেই সমর্থন দেবে বামেরা(CPIM)। বাকি সমস্ত আসনে প্রার্থী তালিকা বেশ কয়েক দফায় প্রকাশ করে ফেলেছে তারা। তাদের প্রার্থী তালিকায় মহিলা ও পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় সমানুপাতিক। রয়েছেন বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু প্রার্থীও। মাটির সঙ্গে ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরই প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব দিয়েছে বামেরা।