সংক্ষিপ্ত

কলেজ ফেস্ট ঘিরে এবার আর বিলাসিতা নয়, কেকে-র অকাল মৃত্য়ুর পর এবার টিএমসিপি-কে এবার কড়া বার্তা দিল তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামী দিনে কলেজ ফেস্ট ঘিরে উচ্ছ্বাস, খরচে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নের্তৃত্ব। 

কলেজ ফেস্ট ঘিরে এবার আর বিলাসিতা নয়, কেকে-র অকাল মৃত্য়ুর পর এবার টিএমসিপি-কে এবার কড়া বার্তা দিল তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামী দিনে কলেজ ফেস্ট ঘিরে উচ্ছ্বাস, খরচে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নের্তৃত্ব। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেকে-র অনুষ্ঠানের আগে তুমুল বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। গুরুদাস কলেজের টিএমসিপি ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘিরে বিতর্ক। অনুষ্ঠানের পর কেকে-র অকাল প্রয়াণ, বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই মৃত্যুর দায় কার। অভিযোগ সেদিন, গুরুদাস কলেজের পড়ুয়ারা নয়, প্রচুর বহিরাগত পড়ুয়াও ভিড় করছিল। উল্লেখ্য, নজরুল মঞ্চের ভিতরে যতো মানুষ ধরে, মঙ্গলবার তার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি দর্শক ছিল।নজরুল মঞ্চের ভিতরে ২৪৮৩ জনের জায়গা রয়েছে।

আরও পড়ুন, 'কেকে-কে দেখে মনে হয়নি অসুস্থ, ঘাম হওয়া মানেই এসি বন্ধ নয়', বিস্ফোরক শিল্পী শুভালক্ষী

এদিকে  নজরুল মঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অডিটোরিয়ামের ভিতরে লাগাম ছাড়া ভিড় ছিল। গেটের বাইরে গতকাল এতটাই ভিড় হয় যে, তা সামলানোই দায় হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে নজরুল মঞ্চের ৭ টা গেটই খুলে দেওয়া হয়।এদিকে তীব্র অস্বস্থি, গুমোট গরমের মাঝেই একের পর এক জনপ্রিয় গান গুলি গেয়ে যান কেকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিকবার স্পট লাইট বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। ঘেমে যান তিনি। অসুস্থ লাগছে বারবার  বলে  যান কেকে। জানা গিয়েছে, মাঝে গ্রিণ রুমেও যান তিনি। দর্শক এবং গায়ক দুই তরফেই তীব্র অস্বস্তির কথা জানানো হয়। যদিও এনিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।  

আরও পড়ুন, 'কেকে-কে হত্যা করা হয়েছে, অপরাধ বোধে গান স্যালুট দিয়েছে সরকার', বিস্ফোরক দিলীপ

জানা গিয়েছে, অসুস্থ লাগছে বারবার বলেছিলেন কেকে। অনুষ্ঠান শেষ হবার তারপর কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্র্যান্ড হোটেলে।সেখানে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপরেই দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।কেকে-র মৃত্য়ুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কারণে বুধবার সকালেই এসএসকেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কেকে-র  শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঠোঁটে এবং কপালে দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। 

আরও পড়ুন, 'কেকে-কে ব্যাক্তি আক্রমণ করতে চায়নি রূপঙ্কর, ইমনদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল', মুখ খুললেন নচিকেতা

সূত্রের খবর, গ্র্যান্ড হোটেল পড়ে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন কেকে। তবে প্রকৃত কারণ জানতেই ময়নাতদন্ত করা হয়।ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে  গায়কের। তবে চূড়ান্ত রিপোর্টে এসএসকেম জানিয়েছে,কেকে-র ছোট ছোট শিরা উপশিয়ায় ব্লকেজ ছিল। এবং বাঁদিকের ধমনীতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল।  যা পারফর্ম করার সময় উত্তেজনা বশত আরো বেড়ে গিয়ে  তাঁর হৃৎপিণ্ডের বাঁদিকের শিরা-উপশিরা গুলিতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে হার্ট অ্য়াটাক হয় গায়কের। সেই মুহূর্তে যদি তাঁকে সিপিয়ার দেওয়া হত তাহলে অবশ্যই কেক-কে বাঁচানো যেত, বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।