সংক্ষিপ্ত

 

  •  জেল সূত্রে খবর রাতে মারাত্মক জ্বর আসে ফিরহাদের 
  • যদিও বর্তমানে ফিরহাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল  
  •  ১০৬ নম্বর কেবিনকে নিয়েই ফিসফিস গুঞ্জন তুঙ্গে 
  •  শোভনের ঘরে চলে আসেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় 
     

বুধবার লম্বা ঘুম শেষে উঠলেন ফিরহাদ।  বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পাশাপাশি সিনেমা দেখলেন সুব্রত, খোশ মেজাজে মদন। যদিও শোভনের কেবিন নিয়ে  ফিসফিস তুঙ্গে। এদিন নারদ মামলার অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন কলকাতা হাইকোর্টে।  

আরও পড়ুন, 'আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার খর্ব হয়েছে', আজ ফের নারদ-মামলা কলকাতা হাইকোর্টে  

 


সূত্রের খবর, আগের থেকে ভাল আছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ রয়েছে।  সকাল সাড়ে আটটার পর ভাঙল ঘুম। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেই ফিরহাদের আইনজীবি জানিয়েছিলেন, মক্কলের জ্বর এসেছে। তবে বাবার সঙ্গে দেখা করার পর মেয়ে জানিয়েছিলেন সুস্থ আছেন এখন ফিরহাদ। রাতে জেল সূত্রে জানা যায়, মারাত্মক জ্বর এসেছিল ফিরহাদের। তাপমাত্রা ১০২ এর কাছাকাছি। ছিল পেট ব্যাথাও। এসএসকেমএ নিয়ে যেতে চেয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাসপাতালে যেতে চাননি ফিরহাদ। 

আরও পড়ুন, নারদকাণ্ডে নাটকীয় মোড়, ফিরহাদ-সুব্রত-মদন ও শোভনের জামিনে কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ  

 


অপরদিকে  তবে উডবার্ণ চত্বরের ১০৬ নম্বর কেবিনকে নিয়েই ফিসফিস গুঞ্জন তুঙ্গে। দুপুরেই শোভনের ঘরে চলে আসেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আচমকা দাবি করে বসেন, হাসপাতালে শোভনের পাশের ঘরেই ভর্তি করতে হবে তাঁকেও। মঙ্গলবার এসএসকেম হাসপাতালে খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঘরের বাইরে কোনও আওয়াজ নেই। কেউ উঁচু গলায় কথা বললেই পাশ থেকে সতর্কবার্তা, আস্তে, বৌদি আছে ঘরে।' বৌদি অর্থাৎ বাণী মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। নিজের হাতে রান্না করে এনেছেন। আসলে সোমবার গ্রেফতারির পর প্রেসিডেন্সি জেলে তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি তাঁর। মঙ্গলবার হালকা তেলে ঝালে পেট ভরে খেয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

 

 

আরও পড়ুন, Live Covid 19- কোভিডে বাংলায় একদিনে মৃত ১৪৫, করোনায় আক্রান্ত সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য  


প্রসঙ্গত, নারদাকাণ্ডে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা। উল্লেখ্য,সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে সেদিন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগই পাননি ধৃত ওই চার নেতা-মন্ত্রী। এই অভিযোগ জানিয়েই বুধবার ফের নারদ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। নিম্ন আধালতের নির্দেশের পর সিবিআই যত দ্রুত কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে, তাতে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের সহজে ছাড় মিলবে না বলেই অনুমান ঘাসফুল শিবিরের।

আরও পড়ুন, পারদ-আদ্রতা চড়ে অস্বস্তি চরমে, আজই ঝাপিয়ে বৃষ্টি কলকাতায় 

 

 

 সূত্রের খবর, আইনি লড়াইয়ের জন্য এদিন সকালেই দেশের প্রথমসারির আইনজীবিদের সঙ্গে ভিডিও-কনফারেন্স করেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা। এরপরেই হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে যেভাবে রাজ্যপালের থেকে অনুমতি নিয়েছে সিবিআই, সেটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন  অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবিরাষ তাঁরা   বলেছেন, এই মামলায় তাঁরা সহজে ছাঁড়বেন না। বুধবার নারদ মামলায় জামিন স্থগিত এবং মামলা বিচারভবন থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়েও শুনানি রয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের আইনজীবিরা নিজেদের বক্তব্য় রাখবেন। নারদমামলার জল যে বহু দূর গড়াবে সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত কেন্দ্রও।