সংক্ষিপ্ত
দুর্গাপুজো করার অনুমতি নিয়ে এর আগেও রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে পদ্ম শিবির। এমনকী দুর্গাপুজোর বিসর্জন নিয়ে বেড়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। মমতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে এ রাজ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে লাগাতার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যার প্রভাব পড়ে ভোটের ময়দানেও।
দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র দড়িটানাটানি চলছে গত দুদিন ধরেই। এমনকী কৃতিত্ব কে নেবে তাই নিয়েও চলছে বিস্তর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। সহজ কথায় কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনী প্রচার যখন শেষ হচ্ছে ঠিক তখনই দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপি(BJP) ও তৃণমূলের(Trinamool) মধ্যে রীতিমত যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় এবার ‘স্বীকৃতি’র-তিরেই বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা। মমতার(Mamata Banerjee) দাবি, ‘‘ এতদিন বিজেপির নেতারা এসে বলতেন, মমতাজি দুর্গাপুজো করতে দেন না। কিন্তু আমাদের দুর্গাপুজোই আজ বিশ্বসেরা। ইউনেসকো(UNESCO) বলছে সেকথা। বিজেপির মুখে চুনকালি পড়া উচিত।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো করার অনুমতি নিয়ে এর আগেও রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে পদ্ম শিবির। এমনকী দুর্গাপুজোর(Durgapuja) বিসর্জন নিয়ে বেড়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। মমতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে এ রাজ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে লাগাতার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যার প্রভাব পড়ে ভোটের ময়দানেও।
এদিকে সম্প্রতি ইউনেসকো-র বিশ্ব সংস্কৃতি রক্ষা সংক্রান্ত কমিটি কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিকে দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতি তৃণমূলের কাছে যতটা সাফল্য আর উদযাপনের বিজেপির কাছে ঠিক ততটাই উৎকণ্ঠার। তাই যেন ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে গেরুয়া নেতাদের কথায়। পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝেই এবার বিজেপির নেতারা নেমে পড়েছেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তারই অঙ্গ হিসাবে বিজেপির আইটি সেলের(BJP's IT cell) প্রধান অমিত মালব্য(Amit Malviya) কার্যত দলের মুখরক্ষার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও শানিয়েছেন আক্রমণ। অমিতের দাবি, দুর্গাপুজোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি এসেছে মোদি সরকারের উদ্যোগের কারনে। সেখানে তৃণমূল বা রাজ্য সরকার কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুন-পড়েছে বিজেপি-র ‘অপবিত্র’ ছায়া, বেচার নেতৃত্বেই গঙ্গাজল নিয়ে ‘শুদ্ধিকরণে’ তৃণমূল
টুইটারে অমিত মালব্য লেখেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি কিছু করেননি। আপনি এই পুরস্কার পাননি। এই সম্মান ভারত পেয়েছে, বাংলার মানুষজন পেয়েছেন। এই সম্মানের জন্য দুর্গাপুজোর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মোদী সরকারের অধীনস্ত একটি সংস্থা সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। আপনি দুর্গাপুজোকে ধ্বংস করার জন্য সমস্ত প্রয়াস করেছেন।’ তাঁর এই টুইট নিয়ে বর্চতমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে দুর্গাপুজোয় রাজ্যের কয়েক হাজার ক্লাবকে সরকারি তহবিল থেকে প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু হয়েছে তৃণমূল সরকারের সময়েও। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বারেবারেই। অন্যান্য বিরোধীদের পাশাপাশি মমতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় তুলোধনা করেছে বিজেপিও। কিন্তু ইউনেসকো স্বীকৃতির পর সেই সমালোচনারও কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।