সংক্ষিপ্ত

পাঁচ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই বৃষ্টি ছয় তারিখ পর্যন্ত চলবে। 

আবারও বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নিম্নচাপ (Depression) তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে(Storm)। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টি (Rain) হওয়ায় নিয়মমাফিক শীত (Winter) বাধা পেতে চলেছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের জন্য এমনই পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুদিন দুই বঙ্গে ঠান্ডা থাকবে। কলকাতায় সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে। জেলাগুলিতে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে তাপমাত্রা। 

দুদিন পর থেকে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি বাড়বে, ফলে কমে যাবে শীত। তিন তারিখে দক্ষিণবঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়াতে হালকা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির পরিমাণ চার তারিখ থেকে বাড়বে ও সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। শুধু উপকূলের দুই মেদিনীপুরে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর বাকি জেলা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। 

এরপর পাঁচ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই বৃষ্টি ছয় তারিখ পর্যন্ত চলবে। এর মূল কারণ থাইল্যান্ড উপকূলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী ১২ ঘন্টায় নিম্নচাপটি সরে এসে আন্দামান সাগরের উপর অবস্থান করবে। তারপরে এটা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরবে এবং সাথে সাথে শক্তি বাড়াবে। দুই তারিখ নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ।এরপর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চার তারিখে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে গিয়ে পৌঁছবে। 

এই নিম্নচাপের প্রভাবেই বাংলায় বৃষ্টি হবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপকূলের জেলাগুলোতে হাওয়ার গতি বেশি থাকবে। কারণ চার তারিখ যখন এই ঘূর্ণিঝড় ওডিশার উপকূলে থাকবে তখন বাংলার উপকূলবর্তী জেলায় হাওয়ার গতি থাকবে ৪৫ থেকে ৬৫ গাস্টিং কিলোমিটার। পরবর্তীকালে হাওয়ার গতি বেড়ে ৭০ থেকে ৭৫ গাষ্টিং ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। 

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের প্রথম দিকে শীতের আমেজ থাকবে। সঙ্গে থাকবে মিঠেকড়া রোদও। কিন্তু সপ্তাহের শেষে আবার আকাশের মুখ ভার থাকবে। তবে কবে থেকে আশার পরিষ্কার হবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি আলিপুর হাওয়া অফিস। চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে আবহাওয়ার ওপর। প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি গরমেরও দাপট ছিল প্রচণ্ড। এই অবস্থায় শীতকাল কেমন কাটবে না নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। 

জানানো হয়েছে দুই তারিখ পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে রাজ্যে। তার পরেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। উত্তরবঙ্গে খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে চার তারিখ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবীদের তিন তারিখ থেকে সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।