সংক্ষিপ্ত
- কলকাতার জন্য়ে দুঃসংবাদ
- সৌজন্যে হাওয়া অফিস
- আবহবিদরা জানাচ্ছেন আপাতত বর্ষার আনন্দে মশগুল হওয়ার কোনও কারণ নেই কলকাতাবাসীর
কলকাতার জন্য়ে দুঃসংবাদ। সৌজন্যে হাওয়া অফিস। আবহবিদরা জানাচ্ছেন আপাতত বর্ষার আনন্দে মশগুল হওয়ার কোনও কারণ নেই কলকাতাবাসীর। বৃষ্টির দেখাই মিলবে না।
আবহাওয়া দফতর থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বঙ্গোপসাগরীয় নিম্নচাপ দুর্বল হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমবে। অন্য দিকে তাপমাত্রা বাড়বে বা়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। তবে সুখবর রয়েছে উত্তরের জন্যে। আজ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে। হাওয়া অফিসের খবর, ওপরের ৫ জেলা তথা দার্জিলিং,জলপাইগুড়ি,কলিম্পং,কোচবিহার,
আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা। এই বর্ষণের কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হচ্ছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে ও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই আগামী ২৭ জুন তারিখ পর্যন্ত। বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আশার কথা এটাই, ২৭ তারিখের পরে মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান বদল করলে আবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়।
প্রসঙ্গত এ বছর অনেকটাই দেরি করে এসেছে বর্ষা। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, প্রাক বর্ষার বৃষ্টি না হওয়ায় এবং বর্ষা দেরি করে আসায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গে। ভূগর্ভস্থ জলের ঘাটতি বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো জেলায় প্রায় ৭০ শতাংশের মত। এই ঘাটতি মেটানোর জন্যে চাই ভারী বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির না হলে রবি শস্য বা খারিফ শস্য সমস্ত ধরনের চাষই ব্যহত হবে। অবশ্য বলাই বাহুল্য দেশজুড়েই তীব্র জলসংকট তৈরি হয়েছে বৃষ্টির এই খামখেয়ালি ব্যবহারে।
আপাতত কলকাতাবাসীর জন্যে হত্যে গিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।