সংক্ষিপ্ত

  • শনিবার ফের পারদ চড়ল কলকাতা তথা রাজ্যে 
  • ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের আকাশ মেঘলা 
  • আবার ২৯ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে ফিরবে শীত   
  • কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস 

শনিবার ফের পারদ চড়ল কলকাতা তথা রাজ্যে। তামিলনাড়ুর ঘূর্ণিঝড়ে বাধা পড়ল বঙ্গের শীত। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ২৮ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা একটু বাড়বে। কারণ তামিলনাড়ুর উপকুলের ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের আকাশ থাকবে মেঘলা। এর ফলে তাপমাত্রা একটু বাড়বে তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবার ২৯ তারিখ থেকে সারা রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হবে এবং ফিরবে শীত।  

 

 

 

আরও পড়ুন, বেড়িয়ে পড়ুন বড়ন্তি, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গার রইল হদিশ  

 

  আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফিরছে শীত রাজ্য়ে

 
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন,তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তারপর ২৯ তারিখ থেকে সারা রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা আবার কমতে থাকবে। এই মাস জুড়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে রাজ্যজুড়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি নীচে। নুন্যতম তাপমাত্রা  ১৮.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।   স্বাভাবিকের ২ডিগ্রি উপরে। শহরের তবে কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক  ৮৮ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৪৯ শতাংশ। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নীচে। নুন্যতম তাপমাত্রা  ১৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।   স্বাভাবিকের ২ডিগ্রি উপরে। শহরের তবে কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক  ৯৬ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৬১ শতাংশ।  

আরও পড়ুন, 'ইশকওয়ালা ফুড', শীতে মুড বদলাতে এখনই বেরিয়ে পড়ুন, রইল কলকাতার সেরা রেস্তোরার হদিশ 

 

 বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ


রীতিমত তাণ্ডব দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড় নিভার। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসতেই বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ।  রীতিমত বিপর্যস্ত অবস্থায় তামিলনাড়ু, পদুচেরির বিস্ততীর্ণ এলাকা। প্রভাব পড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকেও। তবে স্থলভাগে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ব্য়াপক শক্তিক্ষয় হয়েছে।  এই ঘুর্ণিঝড় যতটা ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, কার্যক্ষেত্রে ততটা ক্ষতি হয়নি। এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কারাইকল ও মামাল্লাপুরম  এলাকা।  পদুচেরিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যে কাজ করতে শুরু হয়েছে।  দুটি দল কাজ করছে পদুচেরিতে আর একটি দল কাজ করছে কারাইকাল এলাকায় কাজ করছে। মঙ্গলবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।