সংক্ষিপ্ত
- ঘর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণবঙ্গে
- ঝড়ের তাণ্ডবলীলা দেখে হকবাক স্বয়ং মমতা
- কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
- পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ জরুরি বৈঠকে মমতা
দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। তার মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে আমফানের আগমন। শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গোটা রাজ্য। এই অবস্থায় আমফানের তাণ্ডব দেখার পর একেবারে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সর্বনাশ হয়ে গেল। ধ্বংস করে দিয়ে গেল। আমফানে রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় তাণড্ব চালানোর পর এমন প্রতিক্রিয়াই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বুধবার সকাল থেকে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন তিনি। প্রতি মুহূর্তের খবর এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চোখের সামনে ধ্বংসলীলা দেখেছেন তিনি। তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন জননেত্রী।
সুপার সাইক্লোন আমফান আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রের তরফে পাশে থাকার। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে রাজ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত সুন্দরবন। খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে বার্তা দিয়েছেন, রাজনীতি দিয়ে নয়, বিষয়টিকে মানবিকতা দিয়ে দেখুন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে রাজ্য সরকার। একদিকে কোভিড নিয়ে দুর্যোগ, অন্যদিকে পরিযায়ীরা ফিরছেন রাজ্যে। সেই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোটাটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।