সংক্ষিপ্ত

  • দেশের ছয় মেট্রোপলিটান শহরকে রেড মার্কিংয়ে
  •  ১৭০টি জেলাকে করোনা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত
  • যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা চার দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে
  • সেই জেলাগুলিকে হটস্পট জেলা হিসাবে চিহ্নিতকরণ
দেশের ছয় মেট্রোপলিটান শহরকে রেড মার্কিংয়ে রাখার পাশাপাশি  ১৭০টি জেলাকে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক।  যে জেলাগুলিতে বেশি সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বা যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা চার দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে, সেই জেলাগুলিকে হটস্পট জেলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সেই চারটি জেলা  হল-
১) কলকাতা
২) হাও়়ড়া
৩) পূর্ব মেদিনীপুর
৪) উত্তর চব্বিশ পরগণা

স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে, এই চার জেলায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা সমীক্ষা করবে। তবে শুধু করোনা পরীক্ষাউই নয়, এইসব জোনে যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি)-তে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরও খুঁজে বের করবে এই স্বাস্থ্য় কর্মীদের দল। আগামী ২৮ দিন এই হটস্পটগুলিতে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ থাকবে।
২০ এপ্রিল থেকে খুলছে রাজ্য়ের সব চটকল, কেন্দ্রের কথায় সায় মমতার..

করোনা আক্রান্তরা সুস্থ না হওয়া পর্য়ন্ত এই নিষেধাজ্ঞা উঠবে  না।  গ্রামের ক্ষেত্রে এই হটস্পটের পরিধি হবে তিন কিলোমিটার। তার বাইরে সাত কিলোমিটার পরিধির একটি অঞ্চলকে বলা হবে বাফার জোন বা অরেঞ্জ জোন। এর বাইরেও রয়েচে এপিসেন্টার হওয়ার আতঙ্ক। কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের বিচারে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনগুলিই চিহ্নিত করবে কোন এলাকাগুলি করোনার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে। যেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই জায়গাগুলিই এপিসেন্টার হিসাবে ধরে নেওয়া হবে। 
করোনা সংক্রমণে 'রেড মার্কিংয়ে' কলকাতা, আতঙ্ক বাড়়ালো স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তালিকা.

জানা গিয়েছে, আপাতত  করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিন রকমের স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এগুলি হল কোভিড কেয়ার, কোভিড হেলথকেয়ার এবং কোভিড হাসপাতাল। কারও শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও উপসর্গ কম দেখা দিলে তাঁকে কোভিড কেয়ারে রাখা হবে। একই ভাবে কারও উপসর্গ মাঝারি হলে এবং অক্সিজেনের সাপোর্ট প্রয়োজন হলে তাঁকে কোভিড হেলথকেয়ারে রাখতে হবে। কিন্তু  কারও শারীরিক অবস্থা মাত্রাতিরিক্ত খারাপ হলে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে রাখা হবে।এবার কনটেইনমেন্ট জোনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন। কারও শরীরে জ্বর বা সর্দি, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে তক্ষুণি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
রাজ্য়ে করোনা টেস্ট কম কেন, জবাব দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী.

এরই পাশাপাশি দেশের ২৭০টি জেলাকে নন হটস্পট জেলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে জেলাগুলিতে কোভিড আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু যেখানে সংক্রমণের হার বিপদসীমা ছাড়ায়নি। এই জেলাগুলি হল .. 
১) কালিম্পং
২) জলপাইগুড়ি
৩) হুগলি
৪) নদিয়া
৫) পশ্চিম বর্ধমান
৬) পশ্চিম মেদিনীপুর
৭) দক্ষিণ ২৪ পরগণা
৮)দার্জিলিং।

এই জেলাগুলির মধ্য়ে জেনে নিন কোন জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া কত--- হুগলি (৪),হাওড়া (৭),জলপাইগুড়ি(৪),কালিম্পং  (৭),নদিয়া (৫),উত্তর ২৪ পরগনা(৩),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১),পশ্চিম মেদিনীপুর(২),পূর্ব মেদিনীপুর(৭)  কলকাতায়(২৯) তবে এই সংখ্যাটা কোন তারিখ পর্যন্ত তা উল্লেখ করা হয়নি৷ বেশি আক্রান্তের তালিকায় রাজ্যের চার জেলার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩ জন। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র৷ তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে বাংলায় এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩২।তবে বাড়েনি মৃত্যুর সংখ্যা৷