সংক্ষিপ্ত
- ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত রাজ্য়
- পরিযায়ী শ্রমিক স্পেশ্য়াল ট্রেন চালাচ্ছে রেল
- রাজ্য়ে ঢুকলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা
- তাই ট্রেন না ঢোকানোর আর্জি জানাল নবান্ন
ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত রাজ্য়। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিক স্পেশ্য়াল ট্রেন রাজ্য়ে ঢুকলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। আপাতত তাই রাজ্য়ে শ্রমিক স্পেশ্য়াল ট্রেন না ঢোকানোর আর্জি জানিয়েছে রাজ্য় সরকার।
শনিবার রেলকে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। আগামী ২৬ মে পর্যন্ত রাজ্যে শ্রমিক ট্রেন না চালানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক অতীত বলছে,পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য় রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন রাজ্য়ে আসার অনুমতি পাচ্ছে না। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জন্যই পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য়ে আটকে রয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে নবান্ন।
এদিকে রাজ্য়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরবর্তীকালে দেখা যায়, এক এক করে রাজ্য়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমফানে ফের আটকে যাওয়ার মুখে সেই প্রক্রিয়া। রাজ্য়ের আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি বলছে,দক্ষিণবঙ্গে বেশিরভাগ এলাকাই জলমগ্ন। কাঁচা বাড়ি সবই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
এরকম একটা পরিস্থিতিতে নতুন করে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য়ে ঢুকুক তা চায় না সরকার। কারণ বাড়ি ঘর না থাকার ফলে এক জায়গায় সবাই একত্রিত হলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে। তাই আগেভাগেই রেলকে রাজ্য়ে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন না চালানোর আর্জি জানিয়েছে নবান্ন। বুধবার ১৩৩ কিলোমিটার বেগে আমফান কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। তার দাপটে ঘটেছে প্রাণহানি। আমফানের দাপটে গোটা বাংলাই প্রায় ধ্বংসাবস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।