সংক্ষিপ্ত
- কলকাতা শহরে ফের খুনের ঘটনা
- ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ
- এখনও সবটাই রহস্য
বেহালার শিশির বাগান এলাকার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হল শুভ্রা ঘোষ নামক এক বৃদ্ধার দেহ। প্রৌঢ়া শুভ্রা ঘোষ পুত্র, পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতনীর সঙ্গে বসবাস করতেন। ছেলে ও পুত্রবধূ দুজনেই চাকরি করেন।
প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালেও ছেলে ও পুত্রবধূ কাজে বেরিয়ে যান। নাতনীও স্কুলে চলে যায়। বেলা ১১টায় পরিচারিকা এসে দরজা ধাক্কালেও কেউ দরজা খোলেনি। ফলে পরিচারিকা ফিরে যান। কিছু সময় পরে আবার ফেরত এসে ডাকাডাকি শুরু করলে প্রতিবেশীরা সেখানে এসে জড়ো হয়। প্রতিবেশীরাও দরজা ধাক্কাতে গেলে সেটা নিজে থেকে খুলে যায়। এতে অনেকেরই সন্দেহ হয়। বাড়ির ভেতর ঢুকে প্রতিবেশী এবং পরিচারিকা শুভ্রার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু তাতেও শুভ্রা-র কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এরপর সকলে মিলে সিঁড়ি বেয়ে দোতালায় পৌঁছতেই চমকে দেওয়া ঘটনা। কারণ, দোতালার ঘরের মেঝেতে পড়েছিল শুভ্রা-র নিথর দেহ। তাঁর গলায় গামছা জড়ানো। বোঝাই যাচ্ছিল ওই গামছা গলায় জড়িয়ে প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। আর তাঁর সামনে পড়ে আছে একটি চাদর। ঘরের সমস্ত জিনিসও অগোছালো অবস্থায় পড়েছিল।
এরপরই প্রতিবেশীরা পুলিশকে ফোন করেন। খবর দেওয়া হয় শুভ্রা-র ছেলে ও পুত্রবধূ-কে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পড়ে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মহিলাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি উদ্দেশে এই খুন তা পুলিশ এখনও জানায়নি। বিস্তারিত তদন্তের পরই তা বলা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুভ্রা-র মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছেনা। পুলিশের অনুমান মোবাইল ফোনে খুনের সূত্র থাকতে পারে। শুভ্রা-র বাড়ির উল্টোদিকে বসবাসকারী এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, তিনি সকালে একজনকে শুভ্রা-র বাড়িতে ঢুকতেও দেখেছেন। ওই ব্যক্তি-ই খুনি হতে পারেন বলেও মনে করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের বিস্তারিত তথ্য এলে তবেই খুনের মোটিভ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব বলে পুলিশ সূত্রে খবর।