সংক্ষিপ্ত
রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়ার তিথি হল অমবস্যা। এক নজরে জেনে নিন চলতি বছরের মহালয়ার নির্ঘন্ট।
অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, তারপরই দেবীপক্ষের সূচনা। গত মরশুমে করোনা আবহের কারণে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আনন্দে ছড়িয়েছিল বিষাদের সুর। তারই মাঝে কেউ আনন্দ উপভোগ করেছেন কেউ বা আবার পুজো কাটিয়েছেন ঘরের মধ্যেই। করোনার ত্রাস কাজ করছিল সকলের মধ্যেই। এই বছর ও করোনা আতঙ্ক পিছু ছারে নি বাঙালির। অক্টোবরেই (Octorber) করোনার তৃতীয় তরঙ্গ শিখরে ওঠার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে অক্টোবরেই বাঙালির চির প্রতীক্ষিত উৎসব দুর্গাপুজো (Durgapuja)। ৫ দিনের এই আনন্দের জন্য গোটা বছরের অপেক্ষা। তাই করোনা আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই শুরু হয়েছে বাঙালির পুজো প্ল্যানিং।
আরও পড়ুন- Durga Puja ২০২১: দুর্গাপুজোয় ভিড় এড়াতে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র
রাত পোহালেই মহালয়ার (Mahalaya) সুরে আগমনীর আরাধনায় মেতে উঠবে বাঙালি। মহাদেবের সংসার ছেড়ে ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি ঘুরতে আসবেন উমা। লোকবিশ্বাস অনুসারে, এদিন পিতৃপক্ষের অবসানে ঘটে হয় মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়া (Mahalaya) তিথির সময়কাল হল অমাবস্যা (Amavasya)। এদিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচলিত আছে। তবে এই তর্পণ যে কেবল পিতৃপুরুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়। তপর্ন মন্ত্রে বলা হয়ে থাকে, "যে বান্ধবা অবান্ধবা বা, যে অন্য জন্মনি বান্ধবাঃ। তে তৃপ্তিং অখিলাং যান্ত, যে চ অস্মৎ তোয়-কাঙ্খিণঃ।" অর্থাৎ বন্ধু ছিলেন কিংবা বন্ধু নন অথবা জন্মজন্মান্তরে বন্ধু ছিলেন তাঁদের জলের প্রত্যাশা তৃপ্তিলাভ করুক।
আরও পড়ুন- Durga Puja : করোনা আতঙ্ক এই বছরের দুর্গাপুজোতেও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠের দ্বার
আসুন জেনে নিই মহালয়ায় অমাবস্যা তিথির নির্ঘন্ট:
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে,
- মহালয়ার নির্ঘন্ট:
- অমাবস্যা তিথি আরম্ভ–
- বাংলা: ১৮ আশ্বিন, মঙ্গলবার
- ইংরেজি: ৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার
- সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড
- অমাবস্যা তিথি শেষ–
- বাংলা: ১৯ আশ্বিন, বুধবার
- ইংরেজি: ৬ অক্টোবর, বুধবার
- সময়: সন্ধ্যা ৫টা ০৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড
এই বছর দেবীর আগমন ঘোটকে এবং গমন দোলায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরে দুর্গাপুজোর (DurgaPuja) আনন্দে করোনাই একমাত্র কাঁটা নয়। এছাড়াও আর একটি বাঁধার আশঙ্কা থাকছে দুর্গাপুজো জুড়ে তা হল বৃষ্টি। এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যে বাংলার মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, এরপর দুর্গাপুজোতেও সেই আশংকা পিছু ছাড়ে নি বাঙালির।