সংক্ষিপ্ত
দুর্গাপুজোর অপেক্ষার আর মাত্র দু'সপ্তাহ। একইসঙ্গে আশঙ্কা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। এবার পুজোয় আদৌ গভীর ঠেলে ঠাকুর দেখা সম্ভব? নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের।
গত মরসুমে করোনা পরিস্থিতি সামাল কিছুটা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা সত্ত্বেও ভিড় এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে স্যানিটাইজেশন থেকে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তবে এই বছরের পরিস্থিতিটা একেবারেই আলাদা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই সামলে উঠেছে দেশ। তবে এই মুহূর্তে রীতিমত ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের হিড়িকে জনসমাগম খুবই প্রত্যাশিত। সেই কারণেই দুর্গাপুজোয় ভিড় সামাল দিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- Child Fever: করোনা আতঙ্কের মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে RS Virus জেনে নিন এই জ্বরের উপসর্গ
সম্প্রতি প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে উৎসব সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ঐ চিঠিতে স্পষ্টত বলা হয়েছে যে সকল জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের বেশি সেখানে করোনা সেখানে যেন উৎসব পপালনে জনসমাগমের অনুমতি না দে রাজ্য সরকার। বাংলায় এই মুহূর্তে কলকাতার করোনা সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। সুতরাং কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুসারে কলকাতায় পুজোর সময় ভিড় জনজমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে।
আরও পড়ুন- হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছাল পদ্মার ইলিশ, খুশি ব্যবসায়ীরা
বর্তমানে এখন ও দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ আজ স্বীকার করে নিয়েছেন, যে গতিতে সংক্রমণের হার কমার কথা ছিল, সেই গতিতে তা কমছে না। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবের মরসুম থাকায় সংক্রমণের গতি বাড়ার আশঙ্কা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, চলতি বছরে মহারাষ্ট্রেও গণেশ উৎসবে করোনা অতিমারী রুখতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণাধীন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। কলকাতাতেও দূর্গা পুজোর মরসুমে করোনার গ্রাফ যাতে হঠাৎ করে বেড়ে না যায় সেই কারণে সকলকে বাড়িতে থেকে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করার আবেদন স্বাস্থ্যকর্তাদের।