সংক্ষিপ্ত
- চল্লিশ পেরোলেই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলুন
- ভুঁড়ি বাড়তে দেবেন না, নিয়ম করে হাঁটুন
- রেডমিট বয়কট করুন, তেলমশলা এড়িয়ে চলুন
- দিনে অন্তত সাতঘণ্টা যাতে ভাল ঘুম হয়, খেয়াল রাখুন
বয়স যদি আপনার চল্লিশ পেরোয়, তাহলে সাবধান। নিজের শরীর নিয়ে সচেতন হন। আর অবশ্য়ই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলুন।
দেখুন প্রকৃতির নিয়মেই বয়স বাড়বে, তাতে ভাবনা বা দুর্ভাবনার কিছু নেই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি যদি ভাবেন কম বয়সের বিশৃঙ্খল জীবন কাটাবো, তাহলে কিন্তু চলবে না। চল্লিশ পেরোলেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি সারাদিনে কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন, ধূমপান কতটা করছেন, মদ খাচ্ছেন কতটা, রেড মিট খাচ্ছেন কিনা, ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, দিনের মধ্য়ে অন্তত আধঘণ্টা হাঁটছেন কিনা, এইসব।
প্রথমেই বলি রেডমিটের কথা। এমনিতেই এখন রেডমিট এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকরা, যে বয়সই হোক না কেন। আর তারওপর আপনার যদি বয়স চল্লিশ পেরোয়, তাহলে এই রেডমিট যেকোনও সময়ে আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই রেডমিট বাতিল করুন। নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে পারেন, তবে তা যেন ঘনঘন না-হয়। রক্তে কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড দুই-ই বেড়ে যেতে পারে রেডমিট থেকে, যা ঘুরপথে হার্টের রোগ ডেকে আনতে পারে।
চল্লিশ পেরোচ্ছে। তাই লক্ষ রাখবেন, মধ্য়প্রদেশ যেন স্ফীত না হয়। এই বয়সে ভুঁড়ি বাড়া রীতিমতো বিপজ্জনক। কারণ, ভুঁড়ি বাড়লে তা ঘুরপথে হার্টের সমস্য়া তৈরি করতে পারে। হাঁটু ব্য়থা থেকে শুরু করে কোমরে ব্যথাও বাড়তে পারে এর ফলে। মধ্য়প্রদেশ স্ফীত হওয়া মানে জানবেন, আপনি যেচে রোগবিসুখ ডেকে আনছেন।
মিষ্টি খাওয়া কমান। চিনি-ছাড়া চা খেতে অভ্য়েস করুন। চিনি খেলেও খুব অল্প। দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খাওয়ার অভ্য়েস বন্ধ করুন। মিষ্টি খেলে ওজন বাড়ে। ভুঁড়ি বাড়ে। মেদ বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মিষ্টি খাওয়া কমান অবিলম্বে।
মদ খাওয়ার অভ্য়েস থাকলে সাবধান। তা যেন পরিমিত হয়। ভাববেন না অমুকে মদ খেয়ে দীর্ঘদিন ভাল ছিলেন বলে আপনিও তা থাকবেন। অ্য়ালকোহল থেকে অনেক রোগবিসুখের ঝুঁকি বাড়ে। ওজন বাড়ে। শরীরের নানা জায়গায় ব্যথাও হতে পারে।
দিনের মধ্য়ে অন্তত আধঘণ্টা হাঁটা হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। আমাদের এখন যেহেতু বসে কাজ, সেহেতু হাঁটাহাঁটি হয় না বললেই চলে। তাই সকালে না হোক সন্ধে বেলায়, হেঁটে নিন আধঘণ্টা। আর একান্ত যদি সে সময় না-পান, তাহলে চেষ্টা করুন অফিস যাওয়ার সময়ে দুটো স্টপেজ আগে নেমে খানিকটা হেঁটে নিতে। ফেরার সময়ে ওই ভাবেই খানিকটা হেঁটে নিন। বাজার দোকান সব হেঁটেহেঁটেই করুন।
প্রতিদিন অন্তত সাতঘণ্টা ভাল করে ঘুম হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন। এই ঘুম শরীরের পক্ষে খুব জরুরি। যদি দেখেন ঘুম হচ্ছে না ঠিকমতো, তাহলে কালবিলম্ব না-করে মনোবিদের পরামর্শ নিন।
আর হ্য়াঁ, বেশি ঝাল, ভাজাভুজি খাবেন না। রাত করে খেয়ে দেরিতে ঘুমোতে যাবেন না। এই অনিয়মগুলো কমবয়সে মানালেও চল্লিশ পেরিয়ে গেলে তা না-করাই বাঞ্ছনীয়। সেইসঙ্গে মনে রাখবেন, সুগার-প্রেসার সব নর্মাল থাকলেও বছরে একবার হেলথ চেকআপ করাতে পারলে খানিক নিশ্চিন্তে থাকা যায়। আর সুগার-প্রেসার থাকলে নিয়মিত ওষুধপত্র খাওয়া, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা খুব দরকার। শরীরের সঙ্গে মনেরও যত্ন নিন সমানতালে।