সংক্ষিপ্ত


summery-অন্ধ্রপ্রদেশের একটি নার্সারিতে ২ টি অলিভ গাছের অর্ডার দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। কাদিয়াম থেকে জামনগরের রাস্তা ট্রাকের মাধ্যমে পার হয়েছে এই দুই গাছ। অন্ধ্রের সংস্কৃতিতে অলিভ গাছকে পবিত্র মনে করা হয়।

রুপোলি দুনিয়ার তারকাদের থেকে কোনও অংশে কম যান না বিলেনিয়ার মুকেশ আম্বানি। তার জীবনের প্রায় প্রতিটি গতিবিধিই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। তাঁর জীবনের কাহিনি থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত খবর সবেতেই নজর রাখা হয়। ঠিক সেই রকমই আম্বানি পরিবারের(Ambani Family) অন্দরমহলের খবর জানতেও মরিয়া থাকে সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি আম্বানি পরিবারের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে রিল্যায়েন্স মালিকের ভবিষ্যৎ ভাবনা হয়ে উঠেছে সংবাদের হট টপিক। এবার মুকেশ আম্বানি বাড়ির একটি গাছের কাহিনিকে তুলে ধরা হল সকলের সামনে। কোটিপতির বাড়ির গাছের গল্পে কিছু যে চমক থাকবে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে আসুন জানা যাক আম্বানি পরিবারের একটি গাছের কাহিনি। প্রসঙ্গত, ২০০ বছরের পুরনো(200 Years Old Olive Tree) একটি আস্ত অলিভ গাছ(Olive Tree) নিজের বাড়ি নিয়ে এসেছেন মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani)। অনেকের মতে, অলিভ গাছ নাকি সৌভাগ্যের প্রতীক। আম্বানিও হয়তো সৌভাগ্যের সুস্পর্শ পেতেই এবার বসিয়ে ফেললেন একটা আস্ত অলিভ গাছই। 

অন্ধ্রপ্রদেশের একটি নার্সারি থেকে এসেছে ২০০ বছরের প্রাচীন এই অলিভ গাছ। অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত রাজামুন্ড্রির( Rajahmundry) কাছাকাছি কাদিয়ামের একটি নার্সারি থেকে দুটি অলিভ গাছ অর্ডার করেছিলেন রিল্যায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। অন্ধ্রের সংস্কৃতিতে অলিভ গাছকে পবিত্র মনে করা হয়। নিজের বাগান সাজানোর উদ্দেশ্যেই এই গাছ অর্ডার করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।  গাছ দুটির বয়স যথাক্রমে ১৭০ বছর এবং ২০০ বছর। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির বাড়ি সংলগ্ন যে বাগান সেখানেই  বসানো হবে এই গাছ। কাদিয়ামের গৌতমি নার্সারির মালিকের তরফে জানা গিয়েছে, গাছ দুটিকে নিয়ে আসা হয়েছে সুদূর স্পেন থেকে। কাদিয়াম থেকে জামনগরের রাস্তা ট্রাকের মাধ্যমে পার হয়েছে এই দুই গাছ।  প্লাস্টিকের ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাছ দুটিকে। সেই জন্য প্রতি ঘণ্টায় ট্রাকের স্পিড ছিল ৩০ কিলোমিটার। 

আরও পড়ুন-Ambani-সম্পত্তির ভবিষ্যৎ মালাকানা নিয়ে পরিকল্পনা মুকেশ আম্বানির,ওয়ালটন পরিবারকে অনুসরণ রিল্যায়েন্স কর্তার

নার্সারির আরেক মালিক জানিয়েছেন, স্পেন থেকে এই গাছ একবছর আগে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে স্থানীয় পরিস্থিতেই ওই গাছ রাখা হয়। নার্সারির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ওই দুই গাছ বিক্রি করা।  স্থানীয় আবহাওয়ায় যাতে ওই গাছ ঠিক থাকে তার দিকে চোখ নজর রেখেছিলেন নার্সারির কর্ণধাররা। তখনই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে কিছু কর্মকর্তার নজর যায় সেই গাছের দিকে। তাঁরা সমস্ত বিষয়টি জেনে নিয়েই অর্ডার দেন ২০০ বছরের পুরনো সেই অলিভ গাছগুলোর। তবে বিলেনিয়ার মুকেশ আম্বানির মত ব্যক্তিত্বের মত অন্য কারোর কাছে গাছ বেচার অভিজ্ঞতা এই নার্সারির আগে ছিল না সেই বিষয় অবশ্য কিছু জানান হয়নি। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখে আম্বানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন আরেক ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। অলিভ গাছের বদান্যতায় তিনি ঘুরে দাঁড়ান কিনা তাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন-Gautam Adani: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার ধনী গৌতম আদানি, জানুন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ