সংক্ষিপ্ত
- দিনে একটা আপেল রোগবিসুখকে ঘেঁষতে দেয় না
- এর অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের বুড়িয়ে যেতে দেয় না
- পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে আপেল
- ক্য়ানসার থেকে আলজাইমার প্রতিরোধে আপেলের ভূমিকা রয়েছে
নাহ্। সেই প্রবাদে কোনও ভেজাল নেই। অ্য়ান অ্য়াপল আ ডে কিপস ডক্টর অ্য়াওয়ে। সত্য়িই রোজ একটা করে আপেল খেলে অনেক রোগই আর ধারের কাছে ঘেঁষতে সাহস পায় না।
কী রয়েছে একটা আপেলে?
একটা মাঝারি আকারের আপেলে থাকে ১৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সি যে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্টের একটা বড় উৎস, তা আর নতুন করে না-বললেও চলে। প্রতিদিনের সংঘর্ষে যে অক্সিডেশন ড্য়ামেজ হয়, তা নানা অসুখবিসুখ ডেকে আনার সঙ্গেসঙ্গে অকালেই বুড়িয়ে দেয় আমাদের। এই অক্সিডেশন ড্য়ামেজ মেরামত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। আপেলে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগমুক্ত ও ঝরঝরে রাখতে সাহায্য় করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে আপেলে থাকা অ্য়ান্থোসিয়ানিন অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। আপেলে থাকে ভাল পরিমাণ পেপটিন ফাইবার। যার ফলে একটা আপেল খেলে পেট ভরে থাকে অনেকক্ষণ। ফলে চট করে খিদে পায় না। যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য় করে। এই পেপটিন ফাইবার শুধু রোগা হওয়াই নয়, সেইসঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্টকে ঠিকঠাক রেখে কোষ্ঠাকাঠিন্য়ের হাত থেকে মুক্তি দেয়।
আপেলে থাকা পেপটিন ফাইবার আর পলিফেনল অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরল (এলডিএল) কমিয়ে দেয়। ফলে হার্টের মাসল ও ব্লাড ভেসেল সুরক্ষিত থাকে।
আপেল মস্তিষ্কের পক্ষেও খুব উপকারি। আপেল শরীরে অ্য়াসিটাইলকোলিন উৎপাদন করে বেশি পরিমাণে। যা নার্ভ সেল ও ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ায়। এবং ভুলে যাওয়ার রোগ অ্য়ালজাইমার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
আপেলের মধ্য়ে থাকা ম্য়ালিক অ্য়াসিড মাড়ি শক্ত করে দাঁতকে মজবুত রাখতে সাহায্য় করে। আপেলে থাকা নিউট্রিয়েন্টস স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। এমনকি, লাং ক্য়ানসার, ব্রেস্ট ক্য়ানসার, কোলোরেকটাল ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমাতে আপেলে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্টের জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, টাটকা আপেলের রস ঝটপট অবসাদ কমিয়ে দিতে পারে। এর অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্য়ান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, অ্য়াজমার হাত থেকেও বাঁচায়। এমনকি, আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য় ঠিক রাখতেও আপেল খান নিয়মিত। পারলে রোজ।