সংক্ষিপ্ত
- সফ্ট টিস্যু সার্কোমা এক বিশেষ ধরনের ক্যান্সার যা শরীরের বিশেষ কিছু টিস্যুতে জন্মায়
- প্রথম দিকে এটি একটি টিউমারের আকারেই থাকে, যার আয়তন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়
- এর ফলে আক্রান্তের শারীরিক যন্ত্রণাও বৃদ্ধি পেতে থাকে
- সার্কোমা যদি অঙ্গপ্রতঙ্গে হয়ে থাতে তবে অস্ত্রোপচারের ফলে সেই অঙ্গহানির আশঙ্কা থাকে
কী ধরনের রোগ এই সফ্ট টিস্যু সার্কোমা, কী এই রোগের উপসর্গ। জেনে নেওয়া যাক সফ্ট টিস্যু সার্কোমা সম্বন্ধে কিছু তথ্য। সফ্ট টিস্যু সার্কোমা এক বিশেষ ধরনের ক্যান্সার যা শরীরের বিশেষ কিছু টিস্যুতে জন্মায়। হাড়, মাংসপেশি, শরীরে জমে থাকা চর্বি, স্নায়ু, রক্তনালী, ফাইব্রোস টিস্যু অথবা ত্বকের গভীরে এই মারণ রোগের জন্ম হয়। বেশীরভাগ হাতে, পায়ে হতে পারে। আবার মাথায়, ঘাড়ে, শরীরের ভেতরে কোন অংগে, পেটের এই রোগের উৎপত্তি স্থান। সফ্ট টিস্যু সার্কোমা কোনও সাধারন ক্যান্সার নয়। সার্কোমা-র নাম যখন কোনও বিরল রোগের সঙ্গে মিলে যায় তখন বুঝতে হবে সেটা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার।
আরও পড়ুন- খুশখুশে কাশিতে নাজেহাল, ঘরোয়া টোটকাতেই মিলবে মুক্তি
কম্পিউটেড টমোগ্রাফি, আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই-এর সাহায্যে এই রোগ সনাক্ত করা যায়। এছাড়া বায়োপসির সাহায্যে টিউমারের টিস্যু পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু সনাক্ত করা যায়। সার্কোমা যদি অঙ্গপ্রতঙ্গে হয়ে থাতে তবে অস্ত্রোপচারের ফলে সেই অঙ্গহানির আশঙ্কা থাকে, তাই অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার এড়িয়ে যান চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে সার্কোমা আত্রান্ত টিউমার বাদ দেওয়ার আগে, রেডিয়েশনের আগে তার আকার ছোট করে নেওয়া হয়। সফ্ট টিস্যু সার্কোমার চিকিৎসার সিন্ধান্ত নেওয়া হয় রোগীর শারীরিক অবস্থা, টিউমারের আকার ও সফ্ট টিস্যু সার্কোমার ধরনের উপর ভিত্তি করে।
আরও পড়ুন- নখের যত্ন নিতে শুধু পেডিকিওর নয়, পাতে রাখুন এই খাবারগুলি
প্রথম দিকে এটি একটি টিউমারের আকারেই থাকে, যার আয়তন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আক্রান্তের শারীরিক যন্ত্রণাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্কোমা যদি হার্ট বা পাকস্থলীর কাছাকাছি হয় তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তলপেটে হলে পেট ব্যাথা সেই সঙ্গে পেটের পেশীতে টান পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়া সফ্ট টিস্যু সার্কোমা-য় আত্রান্ত হলে জ্বর, দুর্বলতা, রক্তবমি ইত্যাদি উপসর্গগুলিও দেখা যায়। সফ্ট টিস্যু সার্কোমা-র হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারন নেই। তবে অনেকক্ষেত্রে জিনগত সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। তবে স্পষ্টকরে একে জিনগত রোগ বলা যায় না। অনেকক্ষেত্রে আবার রেডিওথেরাপির সাইডএফেক্ট হিসেবে এই রোগে আত্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।