সংক্ষিপ্ত
- করোনাকালে আচমকা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে
- হৃদরোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- অ্যাজমা, সিওপিডি থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- এমনকী অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে
আতঙ্কের আরেক নাম করোনা। গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনার ত্রাস। সারা দেশ জুড়ে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে নাজেহাল বিশ্ববাসী। যত দিন যাচ্ছে মৃত্যুমিছিল যেন ত্রমশ বাড়ছে। তবে বিশ্বজুড়ে যে করোনাভাইরাসের মহামারী চলছে, তাতে সাধারণ মানুষ তো রয়েইছে এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন মানুষদের বিপদও খানিক কম নয়। বরং কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশিই। কারণ এই মারণ ভাইরাস আঘাত করছে ফুসফুসে।
মানুষ যখন শ্বাস নেয় তখন সেই প্রক্রিয়া অনুভব করতে পারে না। কারণ শ্বাসকষ্ট শুরু হলেই তারপর আমরা শ্বাস নেওয়া সম্পর্কে সচেতন হই। বিভিন্ন কারণে এই শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্ট হয় তেমনই হৃদরোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও আরও কিছু বিশেষ সমস্যা রয়েছে যেমন পেটের সমস্যা, গ্যাস, হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, রক্তাল্পতা, কিডনির সমস্যা এমনকী অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কারোর যদি অ্যাজমা, সিওপিডি থাকে তাহলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। তাই শরীরে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলেই বাড়িতে না বসে থেকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। বিশেষত, যাদের বাড়িতে বয়স্করা রয়েছেন তারা অবশ্যই ঘরবন্দি থাকুন। ফুসফুস বা শ্বাসনালিতে যে কোনও সংক্রমণ হওয়ার আগেই তা প্রথমে বাসা বাধে শ্বাসনালির উপরের অংশে। তারপরই শুরু হয় গলা ব্যথা ও কাশি। অনেকসময় গলার স্বরও বসে যেতে পারে । আর তা যদি ফুসফুস অবধি পৌঁছে যায় তাহলেই তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। সেই সংক্রমণ ফুসফুসে পৌঁছে গেলে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সেই কারণে শরীরে কোনও রকমের সমস্যা দেখা দিলে বা করোনার কোনও উপসর্গ বুঝতে পারলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।